বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ এখন উপযুক্ত ঘাস রোপণ করার জন্য। পরীক্ষামূলকভাবে দেশি প্রজাতির যে ঘাস বসানো হয়েছিলো তার বেড়ে উঠা পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কারের প্রকল্প পরিচালক সারোয়ার জাহান। দ্রুতই ফুটবল ফেডারেশনের চাহিদা মাফিক বিদেশি ঘাস রোপণ করে মাঠ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
দ্রুততম সময়ে মাঠ প্রস্তুত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ফুটবল পিচ তৈরি কার্যক্রম। মাটির লেয়ার ঠিক করে বালি ফেলে তার ওপর রোপন করা হয় দেশি প্রজাতির দুর্বা ঘাস। বর্ষার পানিতে বৃদ্ধি কেমন হয় এরপর তা পর্যবেক্ষণে রাখে ক্রীড়া পরিষদ।
শুধু নির্ধারিত স্থানে নয়। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অন্যান্য স্থানেও ঘাসের বৃদ্ধি হয়েছে লক্ষ্যণীয় পর্যায়ে। যার ফলে এ ঘাস উঠিয়ে এখন দ্রুত বিদেশি ঘাস রোপন করতে চায় এনএসসি।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কার প্রকল্পের পরিচালক মুহাম্মদ সরোয়ার জাহান বলেন, ‘বর্ষাকালে ঘাসটা লাগিয়ে ফেলবো। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে এটার গ্রোথ যেন ভালো হয়। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে যেন ফুটবল খেলা চলতে পারে। গোল পোস্টের সামনের ওই জায়গাটায় স্ট্রেস বেশি পড়ে, ওই জায়গার ঘাস উঠে যায়, কাদা কাদা হয়ে যায়। নার্সারি করা থাকলে ইনস্ট্যান্ট ঘাসটা আমরা রিপ্লেস করতে পারব।’
এর আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ফুটবল পিচে ছিলো জংলী ঘাস। যার ফলে প্রায়ই আঘাত পেতেন ফুটবলাররা। তাই এবার বেশ তৎপর বাফুফে। ক্রীড়া পরিষদের কাছে বারমুডা, ইয়াঙ্গুন ও রয়েল বেঙ্গল এই তিন প্রজাতি উল্লেখ করে অন্তত দুই প্রজাতির ঘাস রোপণের দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, আমরা যে তিনটি উন্নতমানের ঘাসের কথা বলেছি, তিনটি না পারুক অন্তত দুটি প্রজাতির ঘাস দাবি করেছি। আমরা ডেডিকেটেডলি শুধু ঘাস নিয়েই একটা মিটিং করবো। আশা করি, সেখান থেকে আউটকাম আসবে।
এদিকে, ঘাসের পাশাপাশি স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে এনএসসি। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতেও দ্রুততম সময়ে পনি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে করা হচ্ছে সংস্কার কাজ।
সরোয়ার জাহান আরও বলেন, মাঠ রেডি, আমাদের ড্রেনেজ সিস্টেম হয়েছে, উপরে বালি ফিটিং হয়েছে, মাঠ উঁচু করা হয়েছে, সবই হয়েছে। শুধু ঘাস লাগান বাকি আছে। ড্রেনের পুরো কাজটাই হয়ে গেছে, পানি জমবে না এখানে। পানি দ্রুতই চলে যাবে।’
নানা প্রতিবন্ধকতায় সার্বিক সংস্কারে ধীরগতি থাকলেও চলতি বছরই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ বাফুফেকে বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।