শুরুটা ভালো করে শেষে এসে তালগোল পাকিয়ে দিল ইংল্যান্ড। ঘুরে দাঁড়িয়ে মঈন আলি-হ্যারি ব্রুকের শতরানের জুটি, এরপর আবার ধস। নিজেদের চেনা ঢঙে রান তোলার গতি পাঁচের উপর রাখলেও ইংল্যান্ডের ব্যাটিং থাকল না পরিকল্পনার ছাপ। শেষ টেস্টের প্রথম দিনে তাই দাপট অস্ট্রেলিয়ার।
মিচেল স্টার্কের আগুনে বোলিংয়ে হঠাৎই ছন্দপতন হয় স্বাগতিকরাদের। ১৮৩ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড নিজেদের সপ্তম উইকেট হারিয়েছে ২১২ রানে। শেষ দিকে ক্রিস ওকস, মার্ক উডদের প্রচেষ্টায় প্রথম ইনিংসে ২৮৩ রান তুলতে পেরেছে ইংলিশরা। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৬১ রান। এখনও ইংল্যান্ডের চেয়ে ২২২ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।
চলতি অ্যাশেজের প্রথম চার ম্যাচেই টস হেরেছিলেন প্যাট কামিন্স। কেনিংটন ওভালে অবশ্য ভাগ্যপরীক্ষায় জিতে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। এদিন টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কামিন্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জ্যাক ক্রলি-বেন ডাকেট আনেন দারুণ শুরু। ওয়ানডে মেজাজে রান উঠিয়ে ছুটতে থাকে ইংল্যান্ড। দ্বাদশ ওভারে মিচেল মার্শের হলে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে থামেন ৪১ বলে ৪১ করা ডাকেট।
এরপর দ্রুতই ক্রলি ও জো রুটের উইকেট হারিয়ে বসে ইংলিশরা। প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা দেন ৩৭ বলে ২২ রান করা ক্রলি। রুট এসেই বোল্ড হয়ে যান জশ হ্যাজেলউডের বলে।
বিনা উইকেটে ৬২ থেকে ৩ উইকেটে ৭৩ রানে পরিণত হওয়া ইংল্যান্ড এরপর মঈন-ব্রুকের ব্যাটে ছুটতে থাকে। বলের চেয়ে রান বেশি তুলে তারা লাগাম নিজেদের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
১০৮ বলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে উঠে আসে ১১১ রান। দারুণ সব শটে উইকেটের চারপাশ মাতিয়ে রাখেন দুজনে।
তবে অফ স্পিনার টড মার্ফিকে পড়তে ভুল করে বিপদ ডেকে আনেন মঈন। ৪৭ বলে ৩৪ করে বোল্ড হন তিনি। পরের কয়েক ওভারে পুরো বদলে যায় ম্যাচের ছবি। বেন স্টোকস আর ব্রুককে তুলে নেন স্টার্ক। জনি বেয়ারস্টো কাটা পড়েন হ্যাজেলউডের বলে। ৩ উইকেটে ১৮৪ থেকে ৭ উইকেটে ২১২ রানে পরিণত হয় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের রান তবু তিনশোর কাছে যেতে পারে ক্রস ওউকস-মার্ক উডের জুটিতে। ৮ম উইকেটে ৫৪ বলে ৪৯ যোগ করেন তারা। উডকে বোল্ড করে মার্ফি ভাঙেন জুটি, পরে স্টার্ক মুডে দেন ইনিংস।
শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে উসমান খাওয়াজ-ডেভিড ওয়ার্নার জুটি দিন পার করার আভাস দিচ্ছিল। তবে সিরিজে নিজের ব্যর্থতা বজায় রেখে ওউকসের শিকার হন ওয়ার্নার (৫২ বলে ২৪)। পরে মারনাশ লাবুশানকে নিয়ে বাকি সময় কাটিয়ে দিয়েছেন খাওয়াজা (৭৫ বলে ২৬*)।