ভয়াবহ টাইফুনের কবলে পড়েছে এশিয়ার ৩ দেশ। ‘ডাকসুরি’ ও ‘তালিম’-এর পর তৃতীয় টাইফুনের রূপে আসে ‘খানুন’। তিনটি ঝড়ের সম্মিলিত প্রভাব লন্ডভন্ড করে দেয় এশিয়ার দেশ-চীন ও ফিলিপাইন।
তিন ঝড়ের তাণ্ডবে গত সপ্তাহের শেষদিক থেকে চীনের রাজধানী বেইজিং এবং তিয়ানজিন ও হেবেই প্রদেশ লন্ডভন্ড হয়ে যায়। খানুন ধীরগতির হলেও বেইজিংয়ের ভারি বৃষ্টিপাতকে আরও হুমকির দিকে নিয়ে যায়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অনুসারে বেইজিং ও হেবেই প্রদেশ থেকে প্রায় ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমে শানসি প্রদেশে আরও ৪২ হাজার ২১১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। দেশটি গত কয়েকদিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতে ভাসছে। এ পর্যন্ত অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যার মধ্যে রাজধানী বেইজিংয়ে কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছে। নিখোঁজ রয়েছে ২৭ জন। ১৮৯১ সালের (১৪০ বছরের) রেকর্ড ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে দেশটি। শনিবার ও বুধবার সকালের মধ্যে বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে একটি জলাধারে কর্তৃপক্ষ ৭৪৪.৮ মি.মি (২৯.৩) ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।
১৮৯১ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এদিকে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার বৃহৎ শহরতলীর এলাকা এখনো ডুবে আছে। বাস্তচ্যুত হয়েছে ৩ লাখ মানুষ। গত সপ্তাহে ম্যানিলার দক্ষিণের একটি সমুদ্রে ফেরি ডুবে ২৬ জন মারা যায়। কারণ, তখন ডাকসুরি দেশটির পশ্চিম উপক‚ল থেকে দূরে সরে যায় এবং খানুন পূর্বে শক্তি সংগ্রহ করে।
জাপানের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জ বুধবার খানুনের ২৫২ কিলোমিটার দমকা হাওয়ার আঘাতের সম্মুখীন হওয়ার কথা। প্রায় ২০ হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ওকিনাওয়ার নাহা বিমান বন্দরে প্রায় ৯০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। জাপানে বছরের এ সময় এমন শক্তিশালী ঝড় বিরল।
জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বিশ্ব উষ্ণায়ন ঝড় ও তাপপ্রবাহের তীব্রতা বাড়িয়ে তুলবে বলে দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে এসেছেন।