আগস্ট ৩০, ২০২৩ ১০:০১ পূর্বাহ্ণ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত করার ওপর জোর দিয়ে দেশটিতে একেটি নতুন বিরোধী দল তৈরি হয়েছে। চরম অর্থনৈতিক সংকটে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন দিন দিন তীব্রতর হয়ে উঠছে।
দেশটির অর্থনৈতিক সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছালে প্রাথমিকভাবে সিরিয়ার যুবকদের নেতৃত্বে গত সপ্তাহে অন্দোলন শুরু হয়। বিরোধী গোষ্ঠীটি প্রথমে সিরিয়ার উপকূলীয় লাতাকিয়া শহরে গঠিত হয়। সেখান থেকেই অন্দোলনের শুরু। পরবর্তীতে এটি সিরিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
দলটি বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জাতিসত্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে। আন্দোলনের মুখোপাত্র ইউসেফ ওয়ানুস বলেন, এখন পর্যন্ত সিরিয়ার জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা গড়ে তোলার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। আন্দোলনের মূল অংশে সিরিয়ানদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে জন্য আবেদন করা হয়।
আন্দোলনের স্লোগান : অপমান নয়, অস্ত্র নয়, রক্ত নয়, বিভাজন নয়। আমরা হাজার হাজার তরুণের দল রাজনৈতিক পরিবর্তন চাই।
আন্দোলনটি নিরাপত্তা পরিষেবা ও অন্যান্য গ্রুপের সঙ্গে লিঙ্ক তৈরি করছে বলে জানা যায়। ইতোমধ্যে এটি সেনাবাহিনী ও দেশের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
বিভিন্ন নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা যারা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ তারা তাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য আন্দোলনে পৌঁছেছেন। নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা আসন্ন অভিযান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে যাতে দলটি জানতে পারে কোথায় তাদের লিফলেট সংগ্রহ করা ও ছড়িয়ে দেওয়া নিরাপদ হবে। শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের মাধ্যমে ২০১১ সালের রক্তপাত এড়াতে চান ওয়ানুস।
আন্দোলনটি সারা দেশে অন্তত পাঁচটি অন্য আন্ডারগ্রাউন্ড বিরোধী দলগুলোর সাথেও যুক্ত হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সুওয়াইদা বিক্ষোভে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করে। গোষ্ঠীগুলো অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।
নিজস্ব সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ প্রটোকল ডিজাইন করা হয়। ব্যক্তিগতভাবে আন্দোলনটি সিরিয়ানদের কাছ থেকে হাজার হাজার বার্তা পায়।