এস এম মফিদুল ইসলাম শাহিন।।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে পেশি শক্তি ব্যবহারের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেছে পরাজিত নৌকার প্রার্থী ফারজানা আক্তারের সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় নেছারাবাদ উপজেলার প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করার আহ্বান জানান ফারজানা আক্তার। বিজয়ী চেয়ারম্যান গাজী মিজানুর রহমানের বৈধতার প্রশ্ন তুলে ফারাজানা বলেন, মিজানুরের সমর্থকরা নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে ভোট জালিয়াতি করেন। পাশাপাশি প্রশাসনের কিছু কিছু কর্মকর্তা সরাসরি মিজান গাজীর পক্ষে নগ্ন সাপোর্ট দেয়। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ জুলাই (সোমবার) নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমান জয়লাভ করেন। তার কাছে পরাজিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ফারজানা আক্তার। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজয়ী চেয়ারম্যানের সমর্থকরা পাটিকেলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সামনের বাড়িতে জড়ো হয়ে উল্লাস করতে থাকেন। এ সময় সেখানে চেয়ারম্যানকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেছারাবাদ থানার এস আই মজিবুল হক।
তখন অনেকে মোবাইলে এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ও ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। বিষয়টি আওয়ামী লীগ পরাজিত নৌকার প্রার্থী ফারজানা আক্তারের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপারের নজরে আনা হয়। এরপর রাতেই পুলিশ সুপার তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেন।
পরে সোমবার রাতেই তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর এসআই মজিবুল হককে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রব সিকদার মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফারজানা আক্তার মারা যাওয়া চেয়ারম্যানের পুত্রবধূ।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমান মিজান অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৭০৭ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফারজানা আক্তার তিন হাজার ১৯০ ভোট পেয়েছেন।