ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩ ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিবাসন ব্যয় আরও কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সফররত মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন বিস ইসমাইল। তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যে ইতিপূর্বে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কি সে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। এ জন্য দু’দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসবেন।
রোববার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দু’দেশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাইফুদ্দিন নাসুসন বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসন প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায়। ব্যয় কমানো ও বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা আমাদের মূল লক্ষ্য। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, আমরা পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১৫ লাখ বিদেশি কর্মী আছে। এর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখের বেশি বাংলাদেশি। সেই কারণেই যে ১৫টি দেশ থেকে জনশক্তি নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ তার মধ্যে প্রথম স্থানে আছে। মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে বাংলাদেশি কর্মীরা ব্যাপক অবদান রাখছে।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় অবৈধ কর্মী অনেক। বর্তমানে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের বৈধ করা হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহে ৫৫ শতাংশ বাংলাদেশি কর্মী বৈধতা পেয়েছেন। বৈধকরণের প্রক্রিয়ায় আগে ২০-৩০ দিন সময় লাগত। এখন ২-৩ লাগছে।
গত জুনে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানো শুরু হলে বিশেষ সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। এতে অভিবাসন ব্যায় ব্যপক বৃদ্ধি পায়। ৭৯ হাজার টাকায় কর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও বর্তমানে ৫ লাখ টাকারও বেশি নিচ্ছে আদম দালাল চক্র। এ কারণে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার সাধারণ জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। তাদের দাবি হচ্ছে-সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সবার জন্য মালয়েশিয়ার বাজার উন্মুক্ত করা হোক। তা না হলে মালয়েশিয়ার বাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাবে না বাংলাদেশ।