ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাতেই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাতেই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

জাতীয় স্লাইড

মে ২৫, ২০২৪ ২:০৩ অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাতেই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান।

শনিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় নেয়া প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল রোববার (২৬ মে) ভোর থেকে ঝড় আঘাত হানতে পারে। সন্ধ্যায় পুরোপুরি আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এজন্য আজ রাতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরার উপকূল অঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৭ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, এজন্য পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের সব প্রস্তুতি রয়েছে। ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও উপকূলে ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা বুঝতে পেরেছি, ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। এখন ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত রয়েছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে সংকেত ৩-এ চলে যাবে। এটা (সতর্ক সংকেত) রাতে ৪-এর ওপরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছি। রাত ১২টা-১টা নাগাদ এটা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হতে পারে। এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে ঢাকা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঘূর্ণিঝড়টি অতিপ্রবল হয়ে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে অতি ভারি বর্ষণ।

ভারতের আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) বলছে, রোববার সন্ধ্যায় ‘রেমাল’ নাম নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ওই সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।

সকালে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এর পরের ৪৮ ঘণ্টা দেশের সব বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময় সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *