শেরপুরে ধর্ষন মামলা আপোষ করায় ২ ব্যক্তির ৫ ঘন্টা হাজতবাস ॥ মুচলেকায় মুক্ত

দেশজুড়ে

এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৪:২৭ অপরাহ্ণ

শেরপুর সদর প্রতিনিধি

শেরপুরে কিশোরীকে ধর্ষনের চাঞ্চল্যকর এক মামলা বাদীকে চাপ দিয়ে আপোষ করায় ৫ ঘন্টা হাজত খেটেছেন এক সাবেক ইউপি সদস্যসহ ২ ব্যক্তি। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নালিতাবাড়ী জিআর আমলী আদালতে ওই ঘটনা ঘটে। তারা হচ্ছেন নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপরাণ ইউনিয়নের কোন্নগর গ্রামের হাজী হেকমত আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফজলুর রহমান (৪৫) ও ইক গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে বাবুল আক্তার (৪৮)। এর পর তাদের আদালতের গারদখানায় নিয়ে আটক রাখা হয়। পরে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে কৃতকর্মের দায় স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা করে এফিডেভিট দাখিল করলে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই-জাহিদ মুচলেকা গ্রহন সাপেক্ষে তাদের মুক্তির আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট সাব ইন্সপেক্টর আলা উদ্দিন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দক্ষিন কোন্নগর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের মাতৃহীন কিশোরী মেয়ে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১২) কে বসতবাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষন করে স্থানীয় নওশেদ আলীর পুত্র লম্পট তারা মিয়া (৩৫) । ওই ঘটনায় পরদিন কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে গ্রেফতার হয় ধর্ষক হয় তারা মিয়া। সেই সাথে আদালতে ধর্ষনের লোমহর্ষক বর্ণনায় জবানবন্দি দেয় ভিকটিম। অন্যদিকে গত ৪ এপ্রিল হাজতি আসামীর জামিনের আবেদন না মঞ্জুর হয় জেলা দায়রা জজ আদালতে। ওই অবস্থায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান ও সমাজপতি বাবুল আক্তার আসামীর পক্ষ নিয়ে বাদী পক্ষকে চাপ দিয়ে মামলায় আপোষ-মিমাংসা করে বাদীর এফিডেভিট আদায় করে নেয়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে ওই ২ ব্যক্তি নিম্ন আদালতে বাদীকে দাড় করিয়ে হাজতি আসামীর জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক জামিন নাকচ করে বাদীর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে জিজ্ঞেস করলে ওই ২ ব্যক্তি কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেন। ঘটনাটি নিয়ে আদালত অঙ্গনে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *