স্মার্টফোনের যত্ন নেবেন যেভাবে

স্মার্টফোনের যত্ন নেবেন যেভাবে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

নভেম্বর ১২, ২০২২ ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

বাজারে প্রতিদিনই নিত্যনতুন ডিভাইস রিলিজ হচ্ছে। স্মার্টফোনের দাম নির্ভর করে স্পেশিফিকেশনের ওপর। তাই কেনার আগেই ভালোভাবে ফোনটির ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া প্রয়োজন। আসলে যদি কেনার সময় একটি সঠিক ফোন নির্বাচন করা যায়, তাহলে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনাও কিন্তু বেড়ে যায়।

শুরুতেই একটি ভালমানের স্ক্রীন প্রোটেক্টর লাগিয়ে নিন: আজকাল প্রায় স্মার্টফোনেই ভালো মানের গরিলা গ্লাস এর প্রোটেকশন থাকে, যা আপনি স্পেসিফিকেশন এর মধ্যেই পেয়ে যাবেন। তবে কোনো প্রোটেক্টর থাকুক বা না থাকুক বাড়তি যত্নের জন্য একটি ভালো মানের গ্লাস প্রোকেক্টর লাগিয়ে নেয়াই উত্তম।

ব্যবহার না করা হলে ফোনটা নিরাপদ স্থানে রাখুন: যদি আপনি দীর্ঘদিন আপনার ফোনটি ব্যবহার করতে না চান, তাহলে ফোনটি ফুল চার্জ দিয়ে বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে রেখে দিন। এতে আপনার ফোনের ব্যাটারিও সুরক্ষিত থাকবে।

অব্যবহৃত অ্যাপস চালু না রাখা: অনেক সময় দেখা যায়, আমরা আমাদের আইফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে অব্যবহৃত নানা অ্যাপস চালু রাখি। আর চালু রাখা এসব অ্যাপস আপনার ফোনের ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয়। আমাদের প্রায় সবার মাঝেই হুট করে কোনো অ্যাপ চালু করার পর সেটা পুনরায় আবার ব্যবহার না করে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে দেওয়ার অভ্যাসটি আছে। এতে করে ফোন এর ব্যাটারিকে বাড়তি সময় কাজ করতে হয়। তাই ব্যাটারির ওপর চাপ কমাতে ব্যবহারের পরপরই অব্যবহৃত অ্যাপসগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

নোটিফিকেশনের জন্য ভাইব্রেশন মোড চালু না রাখা: মনে রাখবেন মোবাইল ফোন কেনার পর থেকে যতদিন যেতে থাকে, এর কার্যকারিতা ততই কমতে থাকে। এজন্য শুধু কল বা ম্যাসেজের জন্য ভাইব্রেশন চালু রাখা যেতে পারে। সব ধরনের নোটিফিকেশনের জন্য ভাইব্রেশন মুড চালু রাখা উচিত নয়। কারণ, এর জন্য মোবাইলের আয়ু কমে যেতে পারে।

অপ্রয়োজনীয় পারমিশন অ্যালাউ না করা: বর্তমানে রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের জন্য লোকেশন পারমিশন দেওয়ার প্রয়োজন হয়, কারণ একজন ইউজার হিসেবে তখন আপনার সঠিক অবস্থান রাইড শেয়ারকারীকে জানানোর প্রয়োজন হয়। তবে এসব অ্যাপস ছাড়া অন্যান্য অ্যাপসের ক্ষেত্রে লোকেশনের পারমিশন নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসগুলোর ক্ষেত্রে বাড়তি পারমিশন দেওয়ার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। না হলে আপনার ফোন এর কন্টাক্ট নাম্বার অন্যের হাতে খুব সহজেই চলে যেতে পারে।

ব্যাটারি খেকো অ্যাপস এর পরিমিত ব্যাবহার: সাধারণত স্ন্যাপচ্যাট, গুগল ম্যাপস, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন ও ফেসবুকের মত সোশাল অ্যাপসের জন্য মোবাইলের ব্যাটারি সবচেয়ে বেশি ড্রেইন হয়। কারণ অ্যাপসগুলো প্রতিনিয়ত সার্ভারের সঙ্গে কানেক্টেড থাকে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যারা মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহার করেন না বা মোবাইলে ফেসবুক কম ব্যবহার করেন, তাদের মোবাইলের ব্যাটারির আয়ু অন্ততপক্ষে ২০ শতাংশ কম খরচ হয় অন্যদের থেকে। এই অ্যাপসগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকার ফলে মোবাইলের ব্যাটারি প্রয়োজনের চাইতে প্রায় ৩০-৪৫ শতাংশ বেশি খরচ হয়।

বালিশের নিচে মোবাইল না রাখা: আমরা অনেকেই ঘুমানোর সময় আমাদের মোবাইল ফোনটি বালিশের নিচে রেখে ঘুমাই। আমরা ঘুমিয়ে পড়লেও আমাদের মোবাইল ফোন কিন্তু ঘুমায় না। এতে মোবাইলের তাপমাত্রা বেড়ে আগুন ধরার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি বাড়তি উত্তাপের ফলে মোবাইলের ব্যাটারির আয়ুও কমে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *