হামাসের সঙ্গে চুক্তি এড়ানোর কোনো অজুহাত নেতানিয়াহুর হাতে নেই, ব্লিঙ্কেনকে ইয়ার ল্যাপিড

হামাসের সঙ্গে চুক্তি এড়ানোর কোনো অজুহাত নেতানিয়াহুর হাতে নেই, ব্লিঙ্কেনকে ইয়ার ল্যাপিড

আন্তর্জাতিক

মে ৩, ২০২৪ ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

ইসরাইলের বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর হাতে হামাসের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি এড়ানোর ‘কোনো রাজনৈতিক অজুহাত’ নেই। বুধবার সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে এ কথা বলেন তিনি।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, এদিন ইসরাইলে শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিকের সঙ্গে দেখা করেছেন ল্যাপিড। সেখানে তিনি এমন কথা বলেন।

ল্যাপিড তার এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে জানিয়েছেন যে, তিনি ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর কাছে জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে না যাওয়ার কোনো রাজনৈতিক অজুহাত নেই।’

চলমান গাজা সংঘাতের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে তেল আবিব ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য সফরের শেষ পর্যায়ে বুধবার ইসরাইলে যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইয়ার ল্যাপিড বলেন, ‘জাতীয়ভাবে তার (নেতানিয়াহু) সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, নেসেটে (পার্লামেন্ট) তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং যদি প্রয়োজন হয়, আমি নিশ্চিত করব যে সরকারেও তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে’ (অর্থাৎ হামাসের সঙ্গে না করার ক্ষেত্রে তার হাতে কোনো অজুহাত নেই)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় সংঘাতের অবসান ঘটাতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে নতুন করে একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

নতুন অফারটিতে মানবিক ভিত্তিতে জিম্মিদের প্রাথমিক মুক্তির পর গাজায় ‘টেকসই শান্তি পুনরুদ্ধার’ নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইসরাইলের আগ্রহ রয়েছে- দুই ইসরাইলি কর্মকর্তা অ্যাক্সিওস নিউজ ওয়েবসাইটকে এমনটা জানিয়েছেন।

হামাস এই সপ্তাহের শেষের দিকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে মঙ্গলবার নেতানিয়াহু রাফাহ আক্রমণ করার হুমকি দিয়েছেন। অথচ সেখানে ১৪ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্ব রাফায় অভিযানের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের একটি আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরবচ্ছিন্ন আক্রমণ চালিয়ে আসছে। এতে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তনি নিহত এবং ১০ হাজারের বেশি নিখোঁজ রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি।

অপরদিকে হামাসের ওই আন্তঃসীমান্ত হামলায় ইসরাইলের ১২০০ নিহত হয়। সেই সঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে দুই দফায় ফেরত দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *