সুন্দরবনের গাছ কাটা বন্ধে ও উপকূলের জীববৈচিত্র রক্ষায় মানববন্ধন

দেশজুড়ে

এপ্রিল ১৩, ২০২৪ ১০:১২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

আজ সকাল ৯ টায় কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-সিডিও কর্তৃক আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায় এবং উপকূলের তরুণদর সম্পৃক্ত করে সুন্দরবনের গাছ কাটা বন্ধে ও উপকূলের জীববৈচিত্র রক্ষায় “গ্রীন কোস্ট মুভমেন্টের” আয়োজন করা হয়। কাটকাটায় সুন্দরবনের বাঁধ সংলগ্ন রাস্তার উপর আয়োজিত এই মুভমেন্টের মানববন্ধনে মূলত সুন্দরবনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি সুন্দরবনের বৃক্ষ ও প্রাণী সম্পদ রক্ষার বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও উপকূলে গাছ কাটা ও পাখি শিকার বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। এই মানববন্ধনে মুন্ডা সম্প্রদায়ের তরুণরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে এবং পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও আলোকিত তরুণরা অংশগ্রহণ করে। উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের আলোকিত তরুণ নেতা সুব্রত মুন্ডা। তিনি বলেন,সুন্দরবন বাঁচলে, বাঁচবে বাংলাদেশ।আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই সুন্দরবনকে রক্ষা করতে পারে। উপকূলীয় আদিবাসী (মুন্ডা) তরুণ হিসেবে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে এবং এই মহান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবু হেনা কামাল বলেন, সুন্দরবন আমাদের বন্ধুর মতো। সুন্দরবন আছে বলেই উপকূলের মানুষ দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায় এবং সুন্দরবনে জেলে ও মোয়ালরা উপার্জন করতে পারে। সুন্দরবনকে রক্ষার পাশাপাশি আমাদের উপকূলের জীববৈচিত্র্য রক্ষার দিকে মনোযোগী হতে হবে। সুন্দরবনকে সকল হুমকি থেকে বাঁচাতে স্থানীয় এবং বন প্রশাসনকে সমন্বয় করে কাজ করার কথা বলেন এই শিক্ষার্থী।
কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং এই মুভমেন্টের উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সুন্দরবন আমাদের অন্যতম শক্তি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আমফানে সুন্দরবন ঝড়ের গতিবেগ কমিয়ে দেওয়ার কারণে উপকূলে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। এছাড়াও সুন্দরবন আমাদের মায়ের মত। তার ভাষ্যমতে, উপকূলে চুরি করে পাখি শিকার করা হয় এবং সুন্দরবনের হরিণ শিকার করছে কিছু অসাধু মানুষ। সুন্দরবনে ১৩০০ প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সুন্দরবনের ভিতরে গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির সংখ্যা কমে যাওয়া এই বিষয়টিকে তুলে ধরতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি জানান। উপকূলকে সবুজ করার আন্দোলন শুরু করার আগে সুন্দরবনের সুরক্ষা অতি জরুরী বলে মনে করেন তিনি। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে সুন্দরবন সম্পর্কিত নীতিমালাকে সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জোর তাগিদ দেন এই জলবায়ু কর্মী।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন ও উপকূলের গাছ ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদানের পাশাপাশি আগামীতে উপকূলকে সবজায়ন করার উদ্দেশ্যে এই আন্দোলনটি মূলত শুরু করা হয়েছে বলে জানান কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। এই আন্দোলনটি মূলত সুন্দরবনকে কেন্দ্রে রেখে শুরু হলেও পরবর্তীতে এটাকে আরো বিস্তৃত করা হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *