রিয়ালের চেয়ে এগিয়ে বার্সেলোনা

রিয়ালের চেয়ে এগিয়ে বার্সেলোনা

খেলা

এপ্রিল ২, ২০২৩ ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

প্রথমার্ধে লিড পেলেও বার্সেলোনা ভুগছিল নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে। দ্বিতীয়ার্ধে তারা গা ঝাড়া দেওয়ার পর গোল আসতে থাকল জোয়ারের মতো। শেষদিকে এলচের আক্রমণের ঝাপটা সামলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা।

শনিবার রাতে স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সা। তাদের হয়ে জোড়া গোল করেন তারকা পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ত লেভানদভস্কি। একবার করে লক্ষ্যভেদ করেন আক্রমণভাগে তার দুই সঙ্গী আনসু ফাতি ও ফেরান তোরেস।

পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ক্লাবের সঙ্গে তলানির ক্লাবের ম্যাচ। মাঠের লড়াইয়ে সেই পার্থক্য অবশ্য দেখা যায়নি লম্বা সময় ধরে। দুর্বল এলচে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলে শক্তিশালী বার্সেলোনাকে। তবে শেষ পর্যন্ত তারকাখচিত কাতালানরা গোল উৎসব করেই মাঠ ছাড়ে।

শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে জাভির দল। ২৭ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে শীর্ষে। লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ তাদের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে। দুইয়ে থাকা কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের পয়েন্ট ২৬ ম্যাচে ৫৬। ২০ নম্বরে অবস্থান করা এলচের পয়েন্ট ২৭ ম্যাচে ১৩।

ম্যাচের ৫৯ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা বার্সা গোলমুখে শট নেয় ১২টি। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ছয়টি। অন্যদিকে, এইবার ১৫টি শট নিয়ে দুটি রাখতে পারে লক্ষ্যে।

আক্রমণাত্মক ঢঙে শুরু করা বার্সেলোনাকে স্বাগতিকদের জমাট রক্ষণের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়। ম্যাচে প্রথম ভালো সুযোগের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় ২০তম মিনিট পর্যন্ত। তখনই তার এগিয়ে যায়। জর্দি আলবার ফ্রি-কিকে ডি-বক্সে রোনালদ আরাউহো হেড করার পর পেয়ে যান লেভানদভস্কি। ডান পায়ের কোণাকুণি শটে জাল কাঁপান তিনি।

৪২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন লেভানদভস্কি। ফেরানের ক্রসে ছয় গজের বক্সের ভেতর থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। মাঝের সময়ে স্বাগতিকরা বেশ কিছু আক্রমণ করলেও ভীতি ছড়াতে পারেনি।

প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জুলস কুন্দেকে হতাশ হতে হয়। গাভির ক্রসে ফাঁকায় বল পেয়ে যান তিনি। তার নিচু শট প্রায় গোললাইন থেকে ফেরান এলচে ডিফেন্ডার ওমার মাসকারেল।

বিরতির পর খেলা চালুর ষষ্ঠ মিনিটে মার্কোস আলনসোকে গোলবঞ্চিত করেন এদগার বাদিয়া। পাঁচ মিনিট পর আর ত্রাতা হতে পারেননি স্বাগতিক গলরক্ষক। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফাতি দ্বিগুণ করেন ব্যবধান। নিজেদের অর্ধে স্বদেশি ফেরানের কাছ থেকে বল নিয়ে চ্যালেঞ্জবিহীনভাবে সামনে এগোন তিনি। এরপর ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ভেদ করেন নিশানা।

৬৬তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান লেভানদভস্কি। এলচের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে গাভি খুঁজে নেন তাকে। ডি-বক্সে ঢুকে বাকিটা সারেন লেভানদভস্কি। এবারের লিগে এটি তার ১৭তম গোল। তিনি আছেন গোলদাতাদের তালিকায় সবার উপরে।

চার মিনিট পর বার্সার জয় একরকম নিশ্চিত করে ফেলেন ফেরান। নিজেদের অর্ধ থেকে লেভানদভস্কির উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে যান তিনি। এরপর বাঁ পায়ের দারুণ শটে করেন গোল।

বাকি সময়ে ভালো খেলেও গোল মেলেনি এলচের। ৮৫তম মিনিটে ফিদেল শাভেজের হেড বাধা পায় ক্রসবারে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সেলোনার জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। হোসানের শট রুখে দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *