রাশিয়ান জাহাজ আটক করল তুরস্ক

আন্তর্জাতিক স্লাইড

জুলাই ৪, ২০২২ ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

খাদ্যশস্যবোঝাই একটি রুশ জাহাজ আটক করেছে তুরস্ক। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের অনুরোধে রোববার (৩ জুলাই) বড় একটি জাহাজ আটক করেছেন তুর্কি কাস্টমস কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগ, ঝিবেক ঝোলি নামের জাহাজটিতে ইউক্রেন থেকে চুরি করা খাদ্যশস্য বহন করা হচ্ছিল যা অধিকৃত বন্দর বারদিয়ানস্ক থেকে বোঝাই করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

রোববার তুরস্কে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাসিল বোডনার ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, তুরস্কের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রুশ জাহাজটি আটক করেছে। জাহাজটি বর্তমানে তুরস্কের কারাসু বন্দরের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে আছে। ইউক্রেনের তরফে এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে।

ভাসিল বোডনার আরও বলেন, সোমবার (৪ জুলাই) তদন্তকারীদের একটি বৈঠকে আটক জাহাজটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিয়েভের প্রত্যাশা, এতে থাকা ইউক্রেনীয় শস্য বাজেয়াপ্ত করবে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তবে এ ব্যাপারে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি আটকের দাবি নিয়ে তুরস্কের শরণাপন্ন হয় ইউক্রেন। বিষয়টি নিয়ে ৩০ জুন তুরস্কের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠান দেশটির আইনজীবীরা। ওই চিঠিতে বলা হয়, ঝিবেক ঝোলি ‘ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্যের অবৈধ রফতানি’র সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, রাশিয়া অধিকৃত বন্দর বারদিয়ানস্ক থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার টন খাদ্যশস্যের প্রথম চালান নিয়ে তুরস্কের কারাসু অভিমুখে রওয়া হয়েছে রুশ পতাকাবাহী জাহাজটি।

সেই সঙ্গে জাহাজটি পরিদর্শন, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য খাদ্যশস্যের নমুনা সংগ্রহ এবং খাদ্যশস্যের উৎপত্তিস্থল সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নিতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানান ইউক্রেনীয় আইনজীবীরা। বিষয়টি নিয়ে তুর্কি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি যৌথ তদন্ত পরিচালনা করতেও ইউক্রেন প্রস্তুত রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

গত মাসের শুরুর দিকে আঙ্কারায় ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত ভাসিল বোডনার বলেন, ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার চুরি করা খাদ্যশস্যের ক্রেতাদের মধ্যে তুরস্কের ক্রেতারাও রয়েছেন। ওই সব ক্রেতাদের খুঁজে বের করে আটক করারও দাবি জানান এ কূটনীতিক।

ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু বলেন, কিয়েভের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে আঙ্কারা। চুরি করা কোনো খাদ্যশস্য তুরস্কে আনার অনুমতি দেয়া হবে না বলেও জোর দেন তিনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর কয়েকদিনের মধ্যে কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি বন্দর দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। রাশিয়া এসব বন্দরে মজুদ ইউক্রেনের খাদ্যশস্য চুরি করছে বলে অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। তবে মস্কো এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *