রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন থাই প্রধানমন্ত্রী

রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন থাই প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক

জুলাই ১২, ২০২৩ ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের নয় বছর পর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এক বিবৃতিতে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা জানান, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন তিনি। তবে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে ২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রায়ুথ। এরপর ২০১৯ সালে বিতর্কিত এক নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সেনা উর্দি ছেড়ে ‘বেসামরিক’ চেহারায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতা আরো পোক্ত করেন।

চলতি বছরের মে মাসে জাতীয় নির্বাচনে প্রায়ুথের দলসহ সেনা-সমর্থিত দলগুলোর ভরাডুবি হয়। বড় ধরনের জয় পায় মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ও পিউ থাই পার্টি নামে গণতন্ত্রপন্থি দুইটি দল। খুব শিগগিরই পার্লামেন্ট নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ভোট গ্রহণ হবে। এমন অবস্থায় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন প্রায়ুথ।

ইউনাইটেড থাই ন্যাশন (ইউটিএন) দলের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা বিবৃতিতে প্রায়ুথ বলেন, ‘এখন থেকে ইউটিএন পার্টির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আমি রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নিচ্ছি।’ পার্লামেন্ট নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি ইউটিএন দলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

১৪ মে’র নির্বাচনে সেনা সমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি ৫০০টির মধ্যে ৩৬টি আসন জিতে পঞ্চম হয়েছে। নির্বাচনের সময় পিটা লিমজারোয়েনাতের নেতৃত্বাধীন পার্টি মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ১৫২টি আসনে জয়লাভ করেন। ১৪১টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় হয় পিউ থাই পার্টি। দল দুটি সমমনা আরও চারটি দলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *