আল এমরান, কূটনৈতিক প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্ব চায়, বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সৃষ্টি করে উদাহরণ সৃষ্টি করুক। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সামনের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের শুরুতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টেনি ব্লিঙ্কেন এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে অর্থনৈতিক অংশীদার জোরদার ও বহুমুখী করা, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের নিবার্চনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশী সংখ্যক শরণার্থী রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে উদারতা দেখিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ। আমরা দু দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী ও গভীর করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অপরদিকে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারী খাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহবান জানানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টির উপর জোর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ককে বিস্তৃত, গতিশীল ও বহুমুখী উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, আগামী ৫০ বছরে দু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত, বর্ধিতও সুদৃঢ় হবে। দু দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে আরও বেশী মূল্যায়ন করা হবে।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ঐক্যমত প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে সামনের নিবার্চন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ড. মোমেন “জয়বাংলা” দিয়ে শেষ হওয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি বাইডেনের প্রেরিত বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানায়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রেরিত বার্তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।
এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সাংবাদিক ব্রিফিং এ বৈঠকের আলোচনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
উক্ত বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, দূতালয় উপ-প্রধান মিস ফেরদৌসী শাহরিয়ার, মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।