শুভমান গিলের তৃতীয় শতক ও মোহিত শর্মার ১০ রানে ৫ উইকেট শিকারে দ্বিতীয়বারের মতো আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে হার্ডিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্স। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে ৬২ রানে হারিছে গুজরাট টাইটান্স। প্রথমে ব্যাট করে শুভমান গিলের ৬০ বলে ১২৯ রানের ইনিংসে ভর করে ২৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় গুজরাট। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানে থামে মুম্বাই।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় মুম্বাই। নেহাল ওয়াধেরা মাত্র ৪ রান করেই ফিরে যান মোহাম্মদ শামির করা পঞ্চম বলে। অধিনায়ক রোহিত শর্মাও দ্রুত ফিরে গেলে ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মুম্বাই।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের রানে চাকা সচল রাখেন তিলক ভার্মা। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ১৪ বলে ৪৩ রান।
২০ বলে ৩০ রান করে জশ লিটলের বলে ফেরেন ক্যামেরন গ্রিন। ৩৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করা সূর্যকুমার যাদব থামেন ৩৮ বলে ৬১ রান করে।
এরপর আর কেউ দুই অংকের কোটায় না ছুঁতে পারায় ১০ বল বাকি থাকতেই ১৭১ রানেই থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস।
এর আগে শুভমান গিলের দানবীয় এক সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে গুজরাট টাইটান্স। ৬০ বলেই খেললেন ১২৯ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৭ চার আর ১০ ছক্কার মার।
আহমেদাবাদে টস জিতে প্রথমে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোই যেন কাল হলো মুম্বাইয়ের। ঋদ্ধিমান সাহা ১৬ বলে ১৮ রানের বেশি এগোতে পারেননি।
এরপর সাই সুদর্শনকে নিয়ে মুম্বাই বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন গিল। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ বলে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩২ বলে ৫০ রানে পৌঁছে যান তরুণ ওপেনার গিল। এর পর ৫০ থেকে ১০০ রানে পৌঁছাতে নিলেন মাত্র ১৭টি বল। কিন্তু ৬০ বলে ১২৯ রান করে ডেভিডের হাতে যখন ক্যাচ দিলেন শুভমান, গুজরাতের স্কোরবোর্ডে তখন ১৯২ রান।
১৭তম ওভারের শেষ বলে আউট হন গিল। ৩১ বলে ৪৩ করে রিটায়ার্ড আউটে সাজঘরে ফেরেন সুদর্শন। এরপর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ১৩ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে ২৩৩ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন।