বাঁচতে চায় মেধাবী শিক্ষার্থী আইরিন

দেশজুড়ে

অক্টোবর ১৩, ২০২২ ৮:২৬ অপরাহ্ণ

মো. দুলাল হোসেন(নিজস্ব প্রতিবেদক):

“মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই” কে না চায় সুস্থায়ু নিয়ে বেঁচে থাকতে? বলছি ফুটফুটে এক মেধাবী কন‍্যা শিশুর মরণ ব‍্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেলে কাতরানোর কথা। পটুয়াখালীর বাউফলে এক মেধাবী স্কুল ছাত্রী মরন ব্যাধি কঠিন দুরারোগ্য বোন মেরুদন্ড ট্ব্রানেন্সফার সহ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালের শয‍্যায় কাতরাচ্ছে।
অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না ওই ছাত্রীর পরিবার। সরেজমিনে জানা গেছে, রোগাক্রান্ত ওই মেয়েটির নাম মোসাঃআইরিন আয়শা(১২) সে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী। তার বাবার নাম বাবুল খান। বাবুল খান উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের বাসিন্দা।

আইরিন একান্ত সাক্ষাতকালে জানায়, গত ২ মাস ধরে আমি মরণ ব্যাধি কঠিন দুরারোগ্য বোন মেরু ট্ব্রানেন্সফার সহ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত অবস্থায় ভোগতেছি। আমি ঢাকা মেডিকেল ভর্তি ছিলাম। আমার এই কঠিন দুরারোগ্যে রোগ হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন যা আমার পরিবারের বহন করার মতো সামর্থ্য নেই। তাই আমাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। আমি একজন অসহায় কঠিন দুরারোগ্যে আক্রান্ত ছোট শিশু হয়ে সকলের কাছে আকুল আবেদন করছি আমাকে দয়া করে আপনারা সবাই মিলে একটু আর্থিক সাহায্য করুন, আমি বাঁচতে চাই, আমাকে সবাই দোয়া করবেন। সুস্থ হয়ে আমি পড়াশুনা করব ইনশাআল্লাহ। তাই জীবন- মরণের সন্ধিক্ষণে এসে সকলের কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি আপনারা আর্থিক সাহায্য করে আমাকে বাঁচতে সাহায্য করুন। যদি আপনাদের সহযোগিতায় আমি সুস্থ হতে পারি তাহলে আমরণ আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
এ ব‍্যাপারে আইরিনের বাবা বাবুল খান কান্না বিজরিত কন্ঠে প্রতিবেদককে জানান, আমি নিঃস্ব অসহায় যা ছিল অর্থকরী সবই আমার সোনামনির চিকিৎসার জন‍্য খরচ করছি। আমার কাছে এখন কোন টাকা -পয়সা নাই। ক‍্যামনে আমার মেয়ের চিকিৎসা করামু। তাই সবার আছে আমার আকুল আবেদন যে যা পারেন আমারে একটু সাহায্য করেন। আমার দুইো মোবাইল নাম্বার আছে মোবাঃ০১৭৫৮৮৬৯৩২০,বিকাশঃ০১৪০০৯১৩৪১৮। কেউ যদি সাহায্য করে সে যেন দয়া করে আমার বিকাশ নাম্বারে টাকা দেয়। যারা আমারে সাহায্য করবে আমি আজীবন তাদের কাছে ঋণী থাকবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *