পরীমনিকে নিয়ে যা বললেন তসলিমা নাসরিন

পরীমনিকে নিয়ে যা বললেন তসলিমা নাসরিন

বিনোদন স্পেশাল

জুন ২, ২০২৩ ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ

অভিনেতা শরিফুল রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন অভিনেত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার পরই গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাজ ও পরীমনির দাম্পত্য জীবন।

এদিকে ছবি-ভিডিও ফাঁসে অভিনেত্রী সুনেরাহ প্রথমে আকার-ইঙ্গিতে পরীমনিকে দোষারোপ করেন। এরপর রাজের স্ত্রীও পাল্টা মন্তব্য করে জানান, রাজ ১০ দিন ধরে সুনেরাহর সঙ্গে থাকছেন।

রাজ-পরী ও সুনেরাহ ইস্যু যখন টক অব দ্য কান্ট্রিতে রূপ নিল, সেই সময় এ ইস্যুতে কথা বললেন আলোচিত ও সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

বৃহস্পতিবার ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, বাংলাদেশের সিনেমার নায়িকা পরীমনিকে আমি ইনোসেন্ট এবং ইন্টেলিজেন্ট বলে মনে করি।

স্বামী রাজের বিরুদ্ধে পরীমনি বেশ কয়েক মাস আগে জানান, রাজ তার গায়ে হাত তোলেন এবং অতিষ্ঠ হয়ে তিনি রাজকে ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছুদিন পর অবশ্য পরীমনি আপোষ করেছেন। আবার সেই স্বামীর সঙ্গেই বাস করতে শুরু করেছেন।

তিনি লেখেন, রাজের নায়িকা-বান্ধবীদের সঙ্গে কিছু ভিডিও রাজের ফেসবুক থেকে ভাইরাল হওয়ার পর পরীমনির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে অনেকে। কিন্তু পরীমনি রাখঢাক না করে এবার জানিয়ে দিয়েছেন যে রাজ তার সঙ্গে গত দশদিন যাবত থাকছেন না। অর্থাৎ খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজের ফোন পরীমনির নাগালের বাইরে।

তসলিমা আরো লেখেন, আরো একটি তথ্য ফাঁস করেছেন পরীমনি, তা হলো রাজ এখন থাকছেন সুনেরাহ নামের এক নায়িকার সঙ্গে। কী হবে না হবে তা না ভেবে পরীমনি অপ্রিয় কিছু সত্য বলে ফেলেন, এ কারণেই তাকে আমার ভিড়ের বাইরের মানুষ বলে মনে হয়। অনেকটাই আলাদা।

এ লেখিকা লেখেন, পরীমনি বলেছেন রাজকে তার জীবন থেকে ছিনিয়ে নেয়ার দায় সম্পূর্ণই সুনেরাহর। তিনি সুনেরাহকে ভৎসর্না করলেন। আমি অবাক হলাম, রাজ যদি তার স্ত্রীকে ঠকিয়ে থাকেন, স্ত্রীকে চিট করে অন্য কারও সঙ্গে জীবন-যাপন করেন, তা হলে দোষ রাজের না হয়ে অন্যের হবে কেন? পরীমনি রাজকে দোষ দিলেন না। তিনি দোষ দিলেন সুনেরাহকে, মেয়েটিকে।’

তসলিমা লেখেন, অধিকাংশ মেয়েই পুরুষের দোষ দেখতে পান না। সমস্ত অঘটনের মূলে তারা মনে করেন আছে মেয়েরাই। পরীমণিও তাই করলেন। ভিড়ে মিশে গেলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *