নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সমাবেশে লাখো ইসরায়েলি

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সমাবেশে লাখো ইসরায়েলি

আন্তর্জাতিক

এপ্রিল ৮, ২০২৪ ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন ইসরায়েলের হাজার হাজার মানুষ। দেশটির গণমাধ্যম সূত্র বলছে, অন্তত এক লাখ মানুষ নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। গাজায় জিম্মি চুক্তির দাবিতে তাদের এই কর্মসূচি।

স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ‘এখনই নির্বাচন’ এবং ‘ইলাদ, আমরা দুঃখিত’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলে। পরে পুলিশ জোরপূর্বক তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি খুব জোরালো হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বেশ চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহু।

গাজায় যারা জিম্মি হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা হামাস এবং তার সহযোগীদের কাছে গাজায় জিম্মি থাকা ১৩০ জনকে মুক্ত করতে সরকারের অক্ষমতায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় ইলাদ কাতজিরকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার আইডিএফ তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। জানুয়ারিতে জিম্মিদের নিয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে তাকে জীবিত দেখা যায়।

নাওম পেরি নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ইলাদ কাতজির বন্দিদশায় তিন মাস বেঁচে থাকতে পেরেছিলেন। আজ আমাদের সঙ্গে তার থাকা উচিত ছিলে। সে আজ আমাদের সঙ্গে থাকতে পারত।

আয়োজনকারীরা জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের প্রায় ৫০টি স্থানে সমাবেশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে সরকারবিরোধী ধারাবাহিক সমাবেশগুলোয় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে যে, তিনি বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে, তিনি হয়ত বাকি জিম্মিদের আর মুক্ত করতে পারবেন না।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা আক্রমণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। তারপর থেকে ছয় মাস ধরে সেখানে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। প্রাণঘাতী এই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী নারী ও শিশুরা। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা এই সংঘাত কবে থামবে তার কোনো ইঙ্গিত নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *