নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে ফান্ড গঠন করলেন সিয়াম

নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে ফান্ড গঠন করলেন সিয়াম

বিনোদন স্পেশাল

নভেম্বর ১৯, ২০২৩ ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ালেন এ প্রজন্মের তরুণ তারকা সিয়াম আহমেদ। তবে একটু ভিন্নভাবে। ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’ লেখা স্যুট পরে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন ভক্ত-দর্শকদের।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) একটি অনলাইন শপিংয়ের ইলেভেন ইলেভেন ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে অতিথি ছিলেন সিয়াম ও মিম। সেখানে তিনি পরে গিয়েছিলেন স্যুট-প্যান্ট। সে স্যুটের বা পাশে সেলাই করা ছিল একটি উড়ন্ত পায়রার ছবি। আর সে পায়রার মধ্যে ইংরেজি অক্ষরে লেখা ছিল, ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’।

সিয়াম তার সরাসরি অবস্থানের ব্যাখাটা দিলেন এভাবে, কারণটা হচ্ছে আমি মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা বিভিন্ন খবরে যে বাচ্চাগুলোকে দেখছি, একজন মানুষ হলে আপনার সেগুলো খারাপ লাগার কথা। আমরা তো এখান থেকে তাদের জন্য কিছু করতে পারছি না। নূন্যতম মানুষ হিসেবে তাদেরও পাশে না দাঁড়াতে পারি তাহলে কী হবে?

অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচারিত হয়েছে, রেকর্ডেড ছিল না- বহুজাতিক একটি অনলাইন শপিং কোম্পানির শো, তারা চাইলেই আপনার এ চাওয়া না করে দিতে পারতো। সেক্ষেত্রে আমরা বলতেই পারি, এক প্রকার ঝুঁকি নিলেন?

সিয়াম বলেন, প্রতিবাদ তো অনেকভাবেই হতে পারে, সমর্থন তো অনেকভাবেই দেখানো যেতে পারে। অনেক সময় মুখে অনেক কিছু বলতে হয় না। আমার কাছে মনে হলো, এটা একটা ভালো সুযোগ। কারণ, এখানে জনমত তৈরির সুযোগ রয়েছে। এ শোটা বেশ জনপ্রিয়, অনেক মানুষ দেখে। একটা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে মানুষকে আসলে বিষয়টা সম্পর্কে জানানো যায়। এটা আমিও বুঝতে পারছিলাম, প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক চেইন মেনে চলতে হয়, অনেক আইন কানুন মানতে হয়─ যার কারণে তারা আমাকে মানা করতেই পারে। অংশ নেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার পরিকল্পনা ছিল, তারা যদি আমার বক্তব্য তুলে ধরতে মানা করে অথবা না করে কোনোভাবে তাহলে অনুষ্ঠান থেকে ওয়াক আউট করে চলে আসবো। তবে আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা কোনো ধরনের নেগেটিভ কোনোকিছু বলেনি। তারা উল্টো প্রশংসা করেছেন।

তরুণ এই নায়ক মনে করেন, মন থেকে কিছু চাইলে তা উপরওয়ালা পর্যন্ত পৌঁছায়। তবে সেক্ষেত্রে নিয়তটা ঠিকঠাক হওয়াটা জরুরি। তিনি ও আরও কয়েকজন মিলে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ফান্ড গঠন করেছেন।

তিনি বলেন, আমার একার পক্ষে তো আসলে সম্ভব নয়। তবে সবাই মিলে করলে হয় তো সম্ভব। আমরা ক্ষুদ্র একটা অংশ হতে চাই। চেষ্টা করছি সঠিক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার। ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এটি বিশাল কাজ। এখানে সহি, ভুল অনেক কিছু থাকে। সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছানোটা গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে এর জন্য আমরা দায়বদ্ধ থাকবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *