নাসিরনগরের ঐতিহ্যবাহী শুটকির মেলা ও বিনিময় প্রথা

দেশজুড়ে

এপ্রিল ১৫, ২০২৩ ৫:২৫ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মনবাড়িয়াঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামে ও নাসিরনগর সদরের উত্তরে লঙ্গন নদীর পাড়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বসেছে শত বছরে ঐতিহ্যবাহী পণ্যের বিনিময়ে বৈশাখী শুটকির মেলা।

ওই মেলায় প্রাচীন পণ্য বিনিময় প্রথা সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন পণ্যের বিনিময়ে পাওয়া যায় মাছের শুঁটকি। শত বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে প্রতিবছর এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে শুঁটকিপ্রেমীরা ভীড় জমায়। মেলায় পাওয়া যায় দেশীয় মিঠাপানির ছোট বড় বিভিন্ন মাছের শুঁটকি।

বাংলা বর্ষ পঞ্জিকার প্রথা অনুযায়ী বৈশাখের দ্বিতীয় দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রতিবছর এই দুই স্থানে মেলা বসে। স্থানীয় জেলে সমাজ পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে ব্যতিক্রমী এ মেলায় শুটকির পসরা সাজিয়ে দোকান খোলে বসে। নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের কুলিকুন্ডা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে পরদিন রবিবার পর্যন্ত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,এ শুটকি মেলা প্রায় একশত বছরের পুরোনো। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শুঁটকি ব্যবসায়ী ছাড়াও ভোজনরসিকেরা শুটকি বেচা কেনা করতে আসেন এ মেলায়।

গ্রামের লোকজন ও দোকানিদের মধ্যে চলে পণ্যের বিনিময়ে পণ্য বিনিময়ের বিনিময়। কিন্তু সেটি ঐতিহ্য রক্ষায় স্বল্প সময়ের জন্য। স্থানীয় কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত চাল, ডাল, ধান, সীমের বিচি, আলু, শর্ষে, পেঁয়াজ, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের বিনিময়ে শুঁটকি কিনে নেন। বিনিময় প্রথার পাশাপাশি টাকা দিয়েও শুঁটকি কেনা হয়। মেলায় শুঁটকির পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ শিশুদের নানা ধরনের খেলনা সামগ্রী বিক্রি হয়। সরে জমিন মেলা ঘুরে দেখা গেছে,কুলিকুন্ডা শুটকির মেলায় নাসিরনগর ছাড়াও অনেক দুরদুরান্ত থেকে বিভিন্ন জাতের শুটকি নিয়ে এসেছে ব্যবসায়ীরা।মেলায় বিভিন্ন মাছের জাতভেদে প্রতি কেজি শুটকি ২৫শ থেকে ৩ হাজার পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।আর ভোঁজন রসিকরা তাদের রসনার স্বাধ গ্রহন করতে এ সমস্ত শুটকি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *