মো.দুলাল হোসেন(পটুয়াখালী):
পটুয়াখালীর দশমিনার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আব্দুল হক নামের এক শিক্ষকের বসতবাড়ির একটি পুকুরে রাতের আঁধারে গ্যাসট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ওই পুকুরের মালিক মো. আব্দুল হক মাষ্টার প্রতিবেদককে বলেন, রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১১.টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে বাহিরে বের হলে দেখতে পাই আমার বসত ঘরের পিছনের পুকুরের মাছগুলি লাফাচ্ছে এমতাবস্থায় আমি লাইট মেরে দেখি অধিকাংশ মাছ খাবি খাচ্ছে এবং মরে যাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে আশপাশের লোকজনকে খবর দিলে তারা ছুটে আশে এবং মাছ ধরতে আমাকে সাহায্য করে। কে বা কাহারা এহেন কাজ করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হয়ত কোন দুষ্কৃতিকারী আমার আর্থিক ক্ষতি করার জন্য এ কাজ করেছে। তার শত্রু পক্ষ এ কাজ করতে পারে এমনটা ধারনা তার তবে তিনি কারোও নাম উল্লেখ করেননি।
কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, তার বাঁশবাড়িয়া মৌজাভুক্ত জেএল নং ১৩৫ এর আওতাভুক্ত এসএ ৫৩২ ও ৫৩৩ খতিয়ানের ৮৫৫ নং দাগের ১২ শতাংশ জমির উপর তৈরিকৃত ওই পুকুরে ০৩- ০৪ হাজার পাঙ্গাস, ১ হাজার থাইপুঁটি, এক হাজার রুই ৩৫টি কাতলা ও বিভিন্ন প্রজাতির অন্যান্য মাছ ছিল। এ মাছগুলো নিধনে তার প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে তার স্ত্রী মোসাং নাজমা বেগম বলেন, আমি পূর্ব দিকের পুকুরের পারে লোকজনের আওয়াজ পাই ডাক দিলে তারা পালিয়ে যায় হয়ত আমরা আলাপ না পেলে ওই দুষ্কৃতিকারীরা আমার ওই বড় পুকুরের বিষ প্রয়োগ করে মাছগুলো মেরে ফেলতে পারতো তাহলে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হত।
০৬ নং বাঁশবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম ‘৭১ সংবাদ ২৪.কম’কে মুঠোফোনে জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি কিন্তু কে বা কারা করছে তা জানি না তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।