ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুচিনি

স্বাস্থ্য

মে ৩১, ২০২২ ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ

রান্নায় ব্যবহৃত সবচেয়ে পরিচিত মশলার মধ্যে অন্যতম হলো দারুচিনি। বিরিয়ানি হোক কিংবা নিরামিষ তরকারি, ফোড়নে দারুচিনি না পড়লে ঠিক জমে না! তবে কেবল স্বাদ বা গন্ধের জন্য নয়, বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসাবেও দারুচিনি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস। এ মশলায় ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কোলাইন ও লাইকোপেনের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভরপুর মাত্রায় থাকে।

আধুনিক জীবনযাত্রায় যেসব মারণ অসুখ প্রতিনিয়ত আমাদের ভাবনায় রাখে, তার মধ্যে অন্যতম ডায়াবেটিস। বিভিন্ন রকম ও নানা কারণেই ডায়াবেটিস হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও খ্যাদ্যাভাস ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা একবার হলে মৃত্যু পর্যন্ত এই রোগকে নিয়ে বয়ে বেড়াতে হয়।

ডায়াবেটিস রোগটি ইনসুলিনের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের শরীরে ইনসুলিনের কাজ হলো রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমানো। খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ইনসুলিন এই মাত্রাকে নিয়ন্ত্রন করে। যখন শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায় বা ইনসুলিন যখন আমাদের শরীরে ঠিক মতো কাজ করতে পারে না তখন শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকেই চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় বলে ডায়বেটিস। আমাদের দেশে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগী সবচেয়ে বেশি।

টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায়। দারুচিনি গ্লুকোজ গ্রহণের জন্য কোষগুলিকে উদ্দীপিত করে। মশলাটি খেলে অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এ হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও দারুচিনিতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক যৌগের উপস্থিতি মিলেছে। যা সরাসরি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

দারুচিনির আরও গুণাগুণ

শুধুমাত্র ডায়াবেটিসের সমস্যাই নয়, পেটের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রেও দারুচিনি গুরুত্বপূর্ণ। ডায়রিয়া মোকাবিলা করার জন্যও দারচিনি ব্যবহার করা যেতে পারে। আয়ুর্বেদে, দারুচিনির ছাল অনেক সময়ে দাঁতের যন্ত্রণায় বা গাঁটের ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া, সর্দি-কাশি হলেও দারুচিনি খেলে উপশম মেলে।

সূত্র: আনন্দবাজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *