ট্রমা থেকে বাঁচবেন যেভাবে

ট্রমা থেকে বাঁচবেন যেভাবে

স্পেশাল স্বাস্থ্য

অক্টোবর ১৯, ২০২২ ৯:২১ পূর্বাহ্ণ

প্রতিবছর ট্রমা বা দুর্ঘটনার ফলে পৃথিবীতে অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও সারা জীবনের জন্য শারীরিক বা মানসিক কারণে অক্ষমও হয়ে যান অনেকে। ট্রমা জনিত দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সামান্য কিছু সতর্কতামূলক পদ্ধতি গ্রহণ করা দরকার।

আজ ১৭ অক্টোবর বিশ্ব ট্রমা দিবস। সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সচেতনতা তৈরিতে এ দিবসটি পালন করা হয়। তাই আমাদের সবাইকেই ট্রমা থেকে বাঁচার উপায় জানতে হবে।

ট্রমা থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হল পারিবারিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া। বয়সকালে কিংবা অবসর সময়ে বহু মানুষ ট্রমার মধ্যে চলে যান। একজন বাবা মা হিসেবে আপনাকে যেমন মানসিক এবং আর্থিক সব দিক থেকে সন্তানকে সাপোর্ট করতে হবে, তেমনি বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও একই দায়িত্ব পালন করা উচিত।

সন্তানের উপর কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে দেবেন না। যদি সে ফটোগ্রাফার হতে ভালোবাসে তাহলে তার মনের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিন। গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে ভয়ানক হল শিশুদের ট্রমা। কারণ পরবর্তীকালে এটি একটি মানসিক রোগের বড়সড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বর্তমানে সমাজে দিনের পর দিন মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে। বাচ্চাদের সবকিছু বলে শেখানো যায় না, তাদের আশেপাশের পরিবেশ থেকে দেখে শিখতে হবে। বর্তমানে পরিবারই বরং শিখিয়ে দেয় যে রাগ হলে অপরজনের উপর চিৎকার করতে হবে কিংবা মারতে হবে। তাই শিশুর সামনে যতটা সম্ভব সংযত থাকুন। অভিভাবকের ব্যবহারও শিশুদের মনে ট্রমা তৈরি করতে পারে।

অনেকেই আছেন যারা সামান্য পোকা দেখলে কিংবা লিফটে আটকে পড়লে ভয় পান। তারা ট্রমার কারণে ১৪ তলা হেঁটে যান অথচ লিফটে উঠেন না। এক্ষেত্রে অনেকের বুক ধরফর করে, হাত-পা ঘেমে যায়, পিপাসা লাগে মনের মধ্যে অস্থির ভাব কাজ করে। এই ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন।

বর্তমানে ট্রমা থেকে মুক্তি পেতে বৌদ্ধিক আচরণগত থেরাপি, এক্সপোজার থেরাপি সহ নানান ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। ট্রমা ব্যক্তির সামাজিক, শারীরিক কার্যকারিতা, মানসিক আবেগ এবং সুস্থতার উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।

আপনি বাড়িতে বসেই ট্রমার চিকিৎসা করাতে পারেন। কোন বিপদের সময় সবসময় মাথা ঠান্ডা রাখবেন। যতটা দায়িত্ব আপনি সামলাতে পারবেন ঠিক ততটাই করুন। তাহলে দেখবেন মানসিক চাপ কমে গিয়েছেন। প্রচণ্ড মানসিক চাপ অনুভব করলে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিয়ে এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনুন। এইভাবে কিছুক্ষণ করলে কিছুটা হলেও মানসিক শান্তি পাবেন।

যদি মনের কথা কাউকে না বলতে পারেন তাহলে সারাদিনের কাজ এবং আপনার মানসিক অশান্তির কথা ডাইরিতে লিখুন।

প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও এক্ষেত্রে যোগব্যায়াম খুবই উপকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *