জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কেনার পর এবার সেটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির একমাত্র পরিচালক তিনি, এর পাশাপাশি তিনি নিজেই এখন এটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে কাজ করবেন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) তিনি এ ধরনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে।
ইলন মাস্ক ইলেকট্রনিক গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী। এছাড়া রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স, ব্রেন-চিপ স্টার্টআপ নিউরালিংক এবং টানেলিং ফার্ম দ্য বোরিং কোম্পানিও পরিচালনা করেন। তিনি গত সপ্তাহে টুইটারের সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাহী পরাগ আগারওয়ালসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন।
সোমবার দাখিল করা এক নথি থেকে জানা যায়, টুইটারের মালিকানা গ্রহণের পর মাস্ক কোম্পানিটির একমাত্র পরিচালক হয়েছেন।
মালিকানা বদলের আগে টুইটারের বোর্ডে নয়জন পরিচালক ছিলেন। কিন্তু এখন তাদের কেউ আর বোর্ডে নেই। অর্থাৎ টুইটারের আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছেন মাস্ক। তারপর নিজেই হয়েছেন কোম্পানির বোর্ডের একমাত্র পরিচালক।
গত ২৭ অক্টোবর টুইটারের মালিকানা গ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান মাস্ক। তিনি ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কেনেন।
টুইটারের মালিকানা গ্রহণের পরই পরাগ আগারওয়ালকে কোম্পানির সিইওর পদ থেকে বরখাস্ত করেন মাস্ক। একই সঙ্গে তিনি কোম্পানির আরও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন। এর মধ্যে রয়েছেন প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল ও আইন-নীতিমালাবিষয়ক প্রধান বিজয়া গাড্ডে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি অধিগ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে মাস্ক তার টুইটার প্রোফাইলের পরিচিতিতে (বায়ো) বদল আনেন। তিনি নিজের পরিচিতি হিসেবে লেখেন, ‘চিফ টুইট’। এখন মাস্ক জানালেন, তিনি টুইটারের সিইওর দায়িত্ব পালন করবেন।
মাস্ক ঠিক কত দিন সিইও হিসেবে থাকতে পারেন, তিনি পরবর্তী সময়ে অন্য কাউকে এই পদে নিয়োগ দিতে পারেন কি না, সে বিষয়ে গতকাল কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে টুইটার।
এদিকে টুইটারের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া নিয়ে একটি টুইট করেছেন মাস্ক। এই টুইটে তিনি বলেছেন, পরিচালন পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপটি অস্থায়ী। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
সূত্র: বিবিসি