টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : ১ম থেকে ৩য় আসরের সেরাদের গল্প

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : ১ম থেকে ৩য় আসরের সেরাদের গল্প

খেলা

নভেম্বর ১৩, ২০২২ ১:৩৩ অপরাহ্ণ

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর।  এই আসরকে ঘিরে চারদিকে উন্মাদনার শেষ নেই।  চারদিকের এই আমেজ ফিরিয়ে এনেছে আগের আসরগুলোর স্মৃতি।

আগের সাত আসরের মহারণ মাতিয়ে রাখা সেরাদের আরেকবার ফিরিয়ে এনেছে ‘ডেইলি বাংলাদেশ’। আজ তুলে ধরবো প্রথম থেকে তৃতীয় আসরের সেরাদের। যারা নিজেদের পারফর্ম্যান্স দিয়ে আসরকে মাতিয়ে রেখেছিলেন। হয়েছিলেন আসর সেরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৭ সালে। সেবারের আসরে অংশগ্রহণ করেছিল ১২টি দল। ১২ দলের লড়াইয়ে বাকি দশ দলকে পেছনে ফেলে ফাইনালের মঞ্চে পা রেখেছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তান।  পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে ভারত।

সেই আসরে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। আসরজুড়ে ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করেন ‘বুমবুম’ খ্যাত এই ক্রিকেটার।

ব্যাট হাতে মোটে ৯১ রান করলেও বল হাতে ছিলেন বিধ্বংসী। মোট ৭ ম্যাচে উইকেট নেন ১২টি।  আর তাতেই করেন বাজিমাত।

সেবার ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন ভারতের ইরফান পাঠান। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের খেতাব নিজের করে নেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক খেলোয়াড় ম্যাথু হেইডেন।

ছয় ম্যাচের ছয় ইনিংসে ব্যাট করে চার ফিফটিতে ২৬৫ রান করেন তিনি। বল হাতে ৭ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট শিকার করেন উমর গুল।

ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০০৯ সালে বসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর। সেই আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন শ্রীলংকার ব্যাটার তিলকারত্নে দিলশান। টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ খেলে ১৪৪.৭৪ স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ৩১৭ রান করেন তিনি।  দিলশান টুর্নামেন্ট সেরা হলেও দল বিশ্বকাপ জিততে ব্যার্থ হয়।

সেই আসরে ফাইনালে ব্যাটে বলে দুর্দান্ত খেলে ফাইনাল সেরা হয়েছিলেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। প্রথম বল হাতে ২০ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে খেলেন অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস। টুর্নামেন্টের সেরা বোলার হয়েছিলেন আগের আসরে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেওয়া উমর গুল। এই আসরে ১৩ উইকেট শিকার করেন তিনি।

সীমিত সংস্করনের এই ফরম্যাটের তৃতীয় আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নেন কেভিন পিটারসেন।  ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত আসরে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন দলের কেউ টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হন।

ওই আসরে ব্যাট হাতে ২৪৮ রান করেন কেপি। এর মধ্যে ফাইনালে ৩১ বলে ম্যাচ জেতানো ৪৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *