‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবিতে কত কোটি টাকার টমেটো খরচ হয়েছিল?

‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবিতে কত কোটি টাকার টমেটো খরচ হয়েছিল?

বিনোদন স্পেশাল

জুলাই ১৮, ২০২৩ ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ

ভারতের বাজারে টমেটোর দাম এখন আকাশচুম্বি। পেট্রলের চেয়েও দেশটিতে টমেটোর দাম বেশি। এক কেজি টমেটোর দাম ২০০ রুপি ছাড়িয়েছে। শঙ্কা করা হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যে দেশটির কোথাও কোথাও টমেটোর দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এ পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতোমধ্যেই দেশটির রাজধানী দিল্লি, এনসিআর, পাটনা, লাখনৌসহ কয়েকটি বড় শহরে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি শুরু হয়েছে টমেটো।

টমেটোর এমন মূল্যবৃদ্ধির সময়ে ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবির একটি দৃশ্য ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে। ১৫ জুলাই একযুগ পূর্ণ করল হৃত্বিক-ক্যাটরিনা অভিনীত এই ছবি। সেই ছবির ওই বিশেষ দৃশ্যটিতে প্রায় ১৬ টন টমেটো ব্যবহার হয়; যার বাজারমূল্য শুনলে অবাক না হয়ে উপায় নেই।

২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছিল জোয়া আখতার পরিচালিত ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’। এ ছবি আসলে বন্ধুত্বের গল্প বলে। স্পেনে তিন বন্ধুর হলিডে জার্নি আসলে ছিল তাদের জীবনের এক নতুন মোড়। সেখানেই তিন বন্ধু অংশ নেয় সেখানকার বিখ্যাত ‘লা টোমাটিনা ফেস্টিভাল’-এ। তবে এই উৎসবের গোটাটাই ছবির প্রয়োজনে তৈরি করতে হয়। যে কারণে জোগাড় করতে হয় প্রায় ১৬ টন টমেটো। স্পেন নয়, বরং পতুর্গাল থেকে নিয়ে আসা হয় ওই টমেটো। যার সেই সময়েই বাজারমূল্য ছিল প্রায় ১ কোটি টাকা।

ছবির প্রযোজক রিতেশ সিধওয়ানি বলেন, ‘উৎসবটিকে বাস্তবসম্মত দেখাতে প্রচুর টমেটো পর্তুগাল থেকে আমদানি করতে হয়েছিল। কারণ স্পেনে টমেটো তখনো পাকেনি। ফলে পর্তুগাল থেকেই ১৬ টন টমেটো আমদানি করতে হয়েছিল।’

স্পেনের বুনওয়েল শহরের একটি বিরাট অংশজুড়ে চলে শুটিং। এই ছবির শুটিং চলাকালীন গোটা শহর বন্ধ রাখতে হয়। পরিচালক জোয়া আখতারের কথায়, ‘টোমাটিনা উৎসবটি এখানকার দোলের মতো। রং দিয়ে নয়, সেখানে টমেটো দিয়ে হোলি খেলা হয়। দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। তবে বড়পর্দায় দেখতে দারুণ লাগলেও প্রযোজকের রাতের ঘুম প্রায় উড়ে গিয়েছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *