জাপানে একদিনে ১৫৫ ভূমিকম্প, নিহত ১৩

জাপানে একদিনে ১৫৫ ভূমিকম্প, নিহত ১৩

আন্তর্জাতিক স্লাইড

জানুয়ারি ২, ২০২৪ ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ দেশ জাপানে একদিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ১৫৫ বার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। জাপানের মিটিওরোলিজক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) জানিয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ এবং অপর একটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। এদিকে, এই ভূমিকম্পে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে।

জাপানি সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫৫ টি ভূমিকম্পের প্রায় সবগুলোই রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার ওপরে। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতাও কমে এসেছে। তবে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালের দিকেও বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেএমএ।

এদিকে, এই ভূমিকম্পে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। মূলত তীব্র ভূমিকম্পের কারণে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ার কারণে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে ভূমিকম্প উপদ্রুত ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে প্রায় ৩৩ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে এছাড়া, ভূমিকম্পের সময় বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ থেকে সৃষ্ট আগুনেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কোন এলাকায় কত জন মারা গেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি জাপান টাইমস।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে জাপানের নতো অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৪।

জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরপরই স্থানীয় ইশিকাওয়া, নিগাতা, তোয়োমা এবং ইয়ামাগাতা প্রিফেকচারের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তাদের দ্রুত উপকূল ছেড়ে উঁচু এলাকায় সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, রাজধানী টোকিও থেকেও এর কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ ফুট উচ্চতার একটি ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে দেশটির ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা বন্দরে।

এর আগে, গত বছরের অক্টোবরেও জাপানে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প। সে সময়ও দেশটির কর্তৃপক্ষ সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। জাপানের পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপ ইজুতে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *