জর্জ বেস্ট; ফুটবলের এক খামখেয়ালি ‘প্রতিভা অপচয়কারী’ রাজপুত্র

জর্জ বেস্ট; ফুটবলের এক খামখেয়ালি ‘প্রতিভা অপচয়কারী’ রাজপুত্র

খেলা স্পেশাল

মে ২৪, ২০২৩ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

১৯৬৬ সালের ৯ মার্চ। তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপের (বর্তমানে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী বেনফিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে খেলতে নেমেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঘরের মাঠ এস্তাদিও দ্য লুজে বেনফিকা ছিল পরিষ্কার ফেভারিট। ইউসেবিও, সিমোস, জোসে অগাস্তোদের নিয়ে গড়া লাইন আপের বিরুদ্ধে প্রথম লেগে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা রেড ডেভিলরা আন্ডারডগ হিসেবেই খেলতে নামে।

ম্যাচ শুরুর আগে ইউনাইটেড ম্যানেজার ম্যাট বাসবি দলের দুই উইঙ্গারকে বলে দিলেন, প্রথম ২০ মিনিট তারা যেন বেশ নিচে খেলে। এ সময় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের পায়ে বল না দেওয়া এবং দর্শকদের শান্ত রাখতেই নির্দেশনা দেন তিনি। তবে তার সেই নির্দেশনা যেন এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দিলেন ১৯ বছরের এক উইঙ্গার।

কোচের বক্তব্যের সময় হয়তো সেই টিনএজার মনে মনে বলছিলেন, ‘কে ইউসেবিও আর কারাই বা কলুনা, সিমোস, তোরেস, অগাস্তো? আমি জর্জ বেস্ট। আর আমি এভাবেই খেলি।’ এর পরের গল্পটা ইতিহাস। শক্তিশালী বেনফিকাকে ৫-২ ব্যবধানে হারায় ইউনাইটেড। শেষ পর্যন্ত ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আসে রেড ডেভিলসদের ট্রফি ক্যাবিনেটে।

কার কথা বলা হচ্ছে, পাঠকরা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরাদের একজন তিনি। যার নামের মতো তিনিও ছিলেন ফুটবল পায়ে বেস্ট, জর্জ বেস্ট। ইউনাইটেডকে ইউরোপিয়ান কাপ জেতানো সে মৌসুমে ব্যালন ডি অরটাও এসেছিল তার দখলে। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ফুটবলার, যিনি বিশ্বকাপ না খেলেও পেয়েছিলেন বিশ্বসেরার এ স্বীকৃতি।

জর্জ বেস্টের উঠে আসার গল্পটা শুরু আরো কয়েক বছর আগে। জন্মস্থান বেলফাস্টের স্থানীয় ক্লাব গ্লেনটোরানে খেলার সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রবাদপ্রতিম স্কাউটার বব বিশপের চোখে পড়েন তিনি। কিছু সূত্র অনুযায়ী কর্দমাক্ত মাঠে বেস্টের খেলা দেখেই মুগ্ধ হন বব। সঙ্গে সঙ্গে দ্য গ্রেট কোচ ম্যাট বাসবির কাছে টেলিগ্রাম পাঠালেন তিনি। লিখলেন, ‘I think I’hv found a genius for you!’

উচ্চতা ও ওজনের জন্য প্রথমে স্থানীয় ক্লাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন বেস্ট

উচ্চতা ও ওজনের জন্য প্রথমে স্থানীয় ক্লাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন বেস্ট

মজার ব্যাপার, গ্লেনটোরানে কিন্তু প্রথমে উচ্চতা এবং ওজনের জন্য প্রত্যাখাত হয়েছিলেন জর্জ বেস্ট। তবে বিশপের জহুরী চোখ তাকে চিনতে ভুল করেনি। এরপর মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বিশপের হাত ধরে বেস্ট পা রাখেন ম্যানচেস্টারে। কিন্তু ঘরকুনো স্বভাবের কারণে দুই দিনের বেশি সেখানে টিকতে পারলেন না তিনি। বন্ধু ম্যাকমের্ডির সঙ্গে সোজা চলে গেলেন বেলফাস্টে।

বাবা রিচার্ড ডিকি বেস্ট সন্তানকে নিয়ে বসলেন, বোঝালেন। অবশেষে আবার ইংল্যান্ডে ফিরলেন জর্জ। সেই সঙ্গে শুরু হলো ‘বাসবি বেইবস’-এর নতুন অধ্যায়। ম্যাট বাসবির অধীনে ইউরোপের সেরা ক্লাবদের মাঝে তখন থেকেই তো ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছিল রেড ডেভিলসরা! অবশ্য ইউনাইটেডের মূল দলে খেলতে বেস্টকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দুই বছর। সে সময় নিয়ম ছিল, নর্দান আইরিশ কাউকে সিনিয়র দলের জন্য সরাসরি নিতে পারবে না কোনো ইংলিশ ক্লাব। এ কারণে বেড়ে যায় জর্জ বেস্টের অপেক্ষা।

শুরুর ২ বছর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বয়সভিত্তিক দলে কাটান বেস্ট। এ সময় ম্যানচেস্টার শিপ কানালে চাকরি করেন তিনি। ১৯৬৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হয় অপেক্ষার অবসান। এদিন ওয়েস্ট ব্রমউইচ এর বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথমবারের মতো সিনিয়র দলের হয়ে মাঠে নামেন বেস্ট। তিনি যখন ইউনাইটেডের হয়ে খেলা শুরু করেন, তখন রেড ডেভিলরা ইংলিশ লিগের সেরা দল ছিল না। তাদের ৫টি লিগ শিরোপার চেয়ে আর্সেনাল (৭টি), লিভারপুল (৬টি) এমনকি অ্যাস্টন ভিলা (৬টি) আর এভারটনের (৬টি) লিগও বেশি ছিল।

অভিষেক ম্যাচে কেমন ছিল বেস্টের পারফরম্যান্স? ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার নাকি তাকে ডেকে বলেন, ‘ওই ছোকরা, একটু দাঁড়াও এখানে। একটু ভালো করে দেখি তোমাকে। গোটা ম্যাচে শুধু তোমার পিঠটা দেখতে পেয়েছি, যেটা টাচলাইনের ওপর ওঠানামা করছিল শুধু।’

অনবদ্য নৈপুণ্যে অল্প কয়েকদিনের মাঝেই ইউনাইটেডের মূল একাদশের খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন জর্জ বেস্ট। বাসবির কোচিংয়ে বেস্ট-ববি চার্লটন-ডেনিশ ল’র আক্রমণভাগ তখন কাঁপাতে থাকে ইউরোপ। যেখানে বড় আকর্ষণ ছিলেন লম্বা ঝাঁকরা চুলের সুদর্শন বেস্ট! তার নয়নাভিরাম খেলায় মুগ্ধ হতে থাকল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দর্শকবৃন্দ। বলা যায় সে সময় ফুটবলের অন্যতম বড় তারকা হয়ে ওঠেন তিনি।

অল্প সময়েই ইউনাইটেডের বড় তারকা হয়ে ওঠেন তিনি

অল্প সময়েই ইউনাইটেডের বড় তারকা হয়ে ওঠেন তিনি

ফুটবলার হিসেবে শুরু থেকেই খামখেয়ালি ঘরানার ছিলেন বেস্ট। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬টি গোল করেছিলেন তিনি। এফ এ কাপের ম্যাচে নর্দাম্পটন টাউনের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে কখনো ফুটবলার মনে করি না, মনে করি একজন বিনোদনদাতা হিসেবে। মানুষ পয়সা খরচ করে অসাধারণ কিছু দেখার জন্য আসে। আমি সবসময় সেটাই করার চেষ্টা করি।’ এ কথার মাধ্যমেই যেন তার জীবনদর্শন ফুটে ওঠে।

কোচ হিসেবে বাসবিই সবচেয়ে ভালোভাবে বেস্টকে সামলাতে পেরেছিলেন। তিনি ইউনাইটেডের দায়িত্ব ছাড়ার পর আর কোনো কোচের সঙ্গেই এ ফুটবলারের খুব একটা বনিবনা হয়নি। অন্যদিকে রেড ডেভিলসরাও দল হিসেবে খেলতে পারছিল না। টানা কয়েকটি মৌসুম দলকে অনেকটা নিজের কাঁধে বয়ে বেড়ান বেস্ট। কিন্তু এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দেন তিনি। ১৯৭৪ সালে ১১ বছরের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটিয়ে ইউনাইটেড থেকে অবসর নেন এ উইঙ্গার।

এরপর আরো প্রায় দশ বছর স্কটল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার বিভিন্ন ছোটখাট ক্লাবে বিক্ষিপ্তভাবে খেলা চালিয়ে যান বেস্ট। সেসব জায়গায় আলো ছড়াতে না পারলেও মাঝে জাতীয় দলের হয়ে তার এক কীর্তি হয়ে আছে চির অমর। সময়টা ১৯৭৬ সাল। নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল নর্দান আয়ারল্যান্ড। দুই দলেই দুজন তারকা খেলোয়াড়, ইয়োহান ক্রুইফ আর জর্জ বেস্ট। সে সময়টায় সেরার প্রতিযোগীতায় অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন ডাচ কিংবদন্তি ক্রুইফ।

ম্যাচের আগে সাংবাদিক বিল এলিয়টের সঙ্গে কথা বলেন বেস্ট। সে সময় কথা প্রসঙ্গে বেস্টকে বিল জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কি বিশ্বাস করো যে ক্রুইফ তোমার চেয়েও ভালো খেলোয়াড়?’ এই ধরনের প্রশ্নে সাধারণত বেশিরভাগ ফুটবলার চুপ থাকেন, কেউ বিনয়ী ভঙ্গিমায় উত্তর দেন। তবে বেস্ট ছিলেন ভিন্ন ধাতুতে গড়া!

স্বভাবসুলভ হাসিতে বেস্ট উত্তর দেন, ‘তুমি কি শিশুসুলভ কথা বলছো? তুমি শুধু দেখো আমি কী করি। আমি ক্রুইফকে নাটমেগ করবো। আর সেটাও প্রথম সুযোগেই।’

ফুটবল মাঠে প্রতিপক্ষকে অপমানের সর্বোচ্চ উদাহরণ ধরা হয় নাটমেগ করা। এ ধরনের কথা বলা যতটা সহজ, কাজটা ঠিক ততটাই কঠিন। কারণ প্রতিপক্ষের দুই পায়ের মাঝে দিয়ে বল নিয়ে বের হয়ে যাওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। কিন্তু বলাই বাহুল্য, বেস্ট কাজটা করেছিলেন নিজের কথামতো একদম প্রথম সুযোগেই! একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত, নিজেকে সেরা ভাবার সাহস থাকা। আর বেস্টের মাঝে তা ছিল খুব ভালোভাবেই।

সবসময় নিজেকে সেরা ভাবতেন জর্জ বেস্ট

সবসময় নিজেকে সেরা ভাবতেন জর্জ বেস্ট

এই প্রসঙ্গে কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলীর ঘটনা কে না জানে? জনশ্রুতি আছে, মোহাম্মদ আলীর জীবনী নিয়ে যখন বই প্রকাশ করার কথা চলছিল তখন প্রকাশক জানতে চেয়েছিলেন, বইয়ের নাম কী হবে? কোনো সংকোচ ছাড়াই নাকি তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আলি-দ্য গ্রেটেস্ট’। এ ব্যাপারে পরে এ কিংবদন্তি বলেছিলেন, ‘কেউ আমার মতো সেরা হলে তার পক্ষে বিনয়ী হওয়াটা খুব কঠিন।’

বেস্ট নিজেকে সেরা ভাবতেন। ফুটবল পায়ে সে প্রমাণও দিয়েছেন ভালোভাবেই। এক্ষেত্রে তার আরেকটি উক্তি বেশ বিখ্যাত- ‘আমি কুৎসিত হয়ে জন্মালে তোমরা পেলের নাম শুনতে না।’ এখানে অবশ্য তিনি পেলেকে নিয়ে বর্ণবাদী হিসেবে কিছু বলেননি। বোঝাতে চেয়েছিলেন চেহারা খারাপ হলে হয়তো পেলের মতো বা তার চেয়েও ভালো খেলতে পারতে তিনি!

কিন্তু কেন এমন কথা? মূলত জর্জ বেস্ট ছিলেন সুদর্শন এক ফুটবলার। খ্যাতির পাশাপাশি অর্থবিত্তের সংযোগ ঘটায় নারীসঙ্গের অভাব ছিল না তার। সেই সঙ্গে মদ্যপানেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। এসব কারণে ফিটনেস হারানো থেকে শুরু করে নিয়মশৃঙ্খলা ভাঙার ক্ষেত্রে নিয়মিত ছিলেন বেস্ট। শাস্তিও পেয়েছেন বহুবার। শেষ পর্যন্ত অল্পেই থেমেছে এ কিংবদন্তির ক্যারিয়ার, উপহার দিয়েছেন এক অনন্ত আক্ষেপ।

যেকোনো বিষয়েই সফল হবার জন্য প্রতিভা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তবে এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেই প্রতিভার সঠিক পরিচর্যা করে সেটিকে কাজে লাগানো। ফুটবলের বহু রথী-মহারথী এক বাক্যে স্বীকার করে নেন, বেস্টের মতো প্রতিভার অপচয় খুব কম ফুটবলারই করেছেন। আফসোস হয়, খামখেয়ালিপনায় ডুবে না গেলে তিনি কোথায় থাকতেন!

জাতীয় দল নর্দান আয়ারল্যান্ডের হয়ে ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৭ এই ১৩ বছরে ৩৭ ম্যাচে ৯ গোল করেন বেস্ট। কখনো বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি তিনি। তবে ক্লাব ফুটবলে এ উইঙ্গার কাটিয়েছেন দারুণ সময়। ইউনাইটেডের হয়ে ৪৭০ ম্যাচে মাঠে নেমে করেছেন ১৭৯ গোল। এছাড়া ছোটখাটো নানা ক্লাবের হয়েও খেলেছেন, রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর।

নারীসঙ্গের লোভ সামলাতে পারলে বেস্ট হতে পারতেন আরো বিশেষ কিছু

নারীসঙ্গের লোভ সামলাতে পারলে বেস্ট হতে পারতেন আরো বিশেষ কিছু

আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে একটি প্রবাদ খুবই প্রচলিত, ‘Maradona good, Pele Better, George BEST…’ আর পেলের মতে জর্জ বেস্ট ‘ইউরোপের সেরা’, ম্যারাডোনার মতে, ‘অনুকরণীয় আদর্শ’।

বাস্তবেই তিনি খেলা দিয়ে সবাইকে এতটাই সম্মোহিত করে রাখতেন যে নামের মতো তিনিও সবার কাছে ছিলেন বেস্ট। ওয়ার্ল্ড সকারের করা প্রতিবেদন অনুযায়ী সর্বকালের একশ জন সেরা ফুটবলারদের মধ্যে বেস্টের স্থান সপ্তম। ভক্তরা ভালোবেসে তার নাম দিয়েছিলেন ‘ফিফথ বিটল।’ সত্তরের দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটলসের নামের সঙ্গে মিল রেখে পাওয়া এই নামই বুঝিয়ে দেয়, সবার কাছে তিনি কেমন ছিলেন।

খামখেয়ালিপনায় ডুবে ভুল পথে পা বাড়িয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে স্বল্পস্থায়ী করেছেন বেস্ট। অল্প সময়ে যা করেছেন, তাতেই সর্বকালের সেরাদের কাতারে উঠে এসেছেন বেস্ট। তিনি তার প্রতিভার পঞ্চাশ শতাংশও ব্যবহার করেছেন কি না সন্দেহ। বাকি পঞ্চাশ ভাগ যদি দিতেন, কি হতো? একটি বিশ্বকাপও না খেলা বিশ্বজয়ী এ ফুটবলার মারা যান ২০০৫ সালের ২৫ নভেম্বর। মৃত্যুর আগে বলে যাওয়া তার শেষ বাক্য ছিল – ‘Don’t Die Like Me’।

হয়তো শেষ সময়ে বেস্ট বুঝতে পেরেছিলেন, জীবনটা অন্যভাবেও সাজাতে পারতেন তিনি। তিনি না থাকলেও তার কীর্তি ফুটবল ভক্তদের মনে থাকবে চিরকাল। ক্ষণোস্থায়ী এ পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেও সবার কাছে ‘বেস্ট’ হয়েই থাকবেন জর্জ বেস্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *