যেসব জায়গায় রাত বলে কিছু নেই, ২৪ ঘণ্টাই দিন!

যেসব জায়গায় রাত বলে কিছু নেই, ২৪ ঘণ্টাই দিন!

ফিচার স্পেশাল

মার্চ ৯, ২০২৩ ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে সূর্যে অস্ত যেতেই ভুলে যায়। বিশ্বে এমন কয়েকটি স্থান আছে, যেখানে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্তই কখনো কখনো দিন থাকে। সেসব স্থান কখনো পুরোপুরি অন্ধকার হয় না। দিনের পরিমাণই হয় সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ টানা ২৪ ঘণ্টাই সেখানে আপনি কেবল দিন দেখতে পাবেন। জেনে নিন সেসব অদ্ভুত জায়গার তালিকা-

ইউমা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র:  ওয়ার্ল্ড মেটিওরো লজিক্যাল অর্গানাইজেশনের মতে, ইউমা (অ্যারিজোনা) হচ্ছে পৃথিবীর দীর্ঘতম দিনযুক্ত স্থান। এখানে শীতকালে মোট ১১ ঘণ্টা ও গ্রীষ্মে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যের আলো দেখা যায়। এর অর্থ হচ্ছে, ইউমা বছরে গড়ে চার হাজার ১৫ ঘণ্টা সূর্যালোক পায়। এখানকার ৯০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা শুষ্ক জলবায়ুর সম্মুখীন হন। এই স্থানে বৃষ্টিপাত ২০০ মিলি মিটারের বেশি হয় না ও তাপমাত্রা বেশিরভাগ সময়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে।

ফিনিক্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: পৃথিবীর দ্বিতীয় রৌদ্রজ্জ্বল স্থান হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিনিক্স। সেখানে সূর্য অস্ত যায় না। ফিনিক্স কিন্তু আসলে অ্যারিজোনার রাজধানী। এই স্থান বছরে তিন হাজার ৮৭২ ঘণ্টা সূর্যালোক পায়। এই কারণে স্থানটি সূর্যের উপত্যকা নামে পরিচিত। এই স্থানের জনসংখ্যা প্রায় দেড় মিলিয়ন। জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে এখানকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে চলে যায়। ১৯৯০ সালে এখানকার তাপমাত্রা রেকর্ড ৫০ ডিগ্রিতে গিয়ে পৌঁছেছিল।

আসওয়ান, মিশর:  নীল নদী উপত্যকা সম্পর্কে কথা বলা জরুরি। মিশরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত আসওয়ান আফ্রিকার সবচেয়ে রৌদ্র করোজ্জ্বল শহর। সেখানে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টার বেশি সূর্যের আলো থাকে। প্রতিবছর প্রায় সূর্যের আলো থাকে প্রায় তিন হাজার ৮৬৩ ঘণ্টা। এখানকার প্রাচীন শহর এলিফ্যান্টাইন হেলেনিস্টিক যুগ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল।

ব্যারো, আলাস্কা: আলাস্কার এই ব্যারো অঞ্চলে সূর্য অস্ত যায় না। তবে নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে পরবর্তী ৩০ দিন সূর্যের বিন্দুমাত্র আলোও দেখা যায় না। এই স্থান পোলার নাইটস নামেও পরিচিত। প্রচণ্ড শীতেও এই অঞ্চল পুরোপুরি অন্ধকারে ঢাকা থাকে। তুষারে ঢাকা পাহাড় ও মনমুগ্ধকারী হিমবাহ দেখতে যেতে পারেন বিখ্যাত আলাস্কার ব্যারোতে। গ্রীষ্ম বা শীতকাল যে কোনো সময়ই সেখানে যেতে পারেন পর্যটকরা।

এখানে সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে কম পড়ে

এখানে সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে কম পড়ে

আবার ব্যতিক্রম জায়গাও আছে। যেমন, নরওয়ের দক্ষিণে একটি উপত্যকায় অবস্থিত ছোট গ্রাম রাজুকান। এর প্রাকৃতিক সম্পদ নানা কারণে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে রাজুকান এলাকাটি বছরের ছয় মাস সূর্যের আলোও দেখতে পায় না। সেপ্টেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে কম পড়ে।

সূত্র: কলকাতা টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *