জনগনের পানি নিষ্কাশনের খাল বন্ধ করে কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগ

দেশজুড়ে

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ ২:৩৬ অপরাহ্ণ

নাসিরনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ-

জনসাধারণের পানি নিস্কাশনের সরকারী খাল ব্যাক্তি উদ্যোগে বন্ধ করে কালভার্ট নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে। স্থানীয় জনগণ ও অভিযোগকারী সুত্রে জানা গেছে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে ৩৬ শতক খাল ভূমিতে কালভার্ট নির্মাণ করে মার্কেট নির্মানের পায়তারা করছে একটি প্রভাবশালী মহল।কালভার্ট নির্মাণ হলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় করছে এলাকাবাসী। এতে বেশ কিছু ফসলি জমিতে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে। এছাড়াও বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে।তাই দ্রুত কালভার্ট নির্মাণ বন্ধ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গ্রামবাসীর পক্ষে পূর্বভাগ গ্রামের রফিক রাজা অবৈধ কালভার্ট নির্মাণ বন্ধের জন্য একটি দেওয়ানী মামলা( নং- ৬২/২০)ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন যার নং (৪৪৫/২০) । উপরোক্ত দুটি মামলা চলমান অবস্থায় পূর্বভাগ গ্রামের মিয়াব আলী(৬৫) পিং আব্দুল মোতালিব,ধনু মিয়া(৭২)পিং মৃত মন্নর আলী,আনছর আলী (৩৬) পিং ধনু মিয়া, হুমায়ূন মিয়া(৩৩)পিং ধনু মিয়া,আলী আকবর(৬৫) পিং গহর আলী,আলমগীর (৩৪)পিং আলী আকবর, জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫) পিং মৃত বিল্লাল মিয়া, সাদ্দাম মিয়া (৩৩)পিং মৃত বিল্লাল মিয়া, এনামুল হক (৩৫)মৃত হাজী জয়নাল আবেদীন সহ সমস্ত বিবাদীগণ আদালতের আদেশ অমান্য করে পূর্বভাগস্থ ৭১ নং মৌজার ২৯ নং এসএ, বিএস খতিয়ানযুক্ত বিএস ৩১৩৯ দাগে ৩৬ শতক খাল ভুমিতে পুনরায় কালভার্ট নির্মাণ শুরু করে। যার দ্বারা এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্তে গত ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে গ্রামবাসীর পক্ষে পুনরায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন বাদী রফিক রাজা।

পূর্বভাগ গ্রামের শওকত আলী বলেন,জমে থাকা বৃষ্টির পানি ওই গ্রামের রাস্তার কালভার্টের মুখ দিয়ে নিষ্কাশন হতো। যুগ যুগ ধরে পানি নিষ্কাশনের জন্য এ খালটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সেই পানি নিষ্কাশনের খালটি জোরপূর্বক মাঠি দিয়ে ভরাট করে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবে গ্রামবাসী।

কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনের এ খাল পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহার করা হতো। আমাদের বাপ দাদাদের সময় থেকে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে। অথচ এলাকার কতিপয় লোক বিশেষ মহলের ঈঙ্গিতে জোরপূর্বক খালটি ভরাট করার পায়তারা করছে ।

সাবেক ইউটি সদস্য মোঃ অবিদ রাজা বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য একশো বছর ধরে খালটি ব্যবহার করে আসছে কৃষকরা। খালটি বন্ধ হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কয়েকশ পরিবার।

এ ব্যাপারে হরিপুর ও পূর্বভাগ ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন,আমাদের রেকর্ডে ৩১৩৯ দাগে খাল নেই রাস্তা হিসেবে রেকর্ড আছে। এটা নিয়ে গত দুই বছর যাবৎ ঝামেলা ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। তবে জায়গাটা জনগণে বলেও স্বীকার করেন এ কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *