‘পাকিস্তান হাতে চুড়ি পরে বসে নেই’

‘পাকিস্তান হাতে চুড়ি পরে বসে নেই’

আন্তর্জাতিক

মে ৭, ২০২৪ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উদ্দেশে জম্মু–কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন, পাকিস্তান হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। তাদের হাতে পারমাণবিক বোমা রয়েছে, তা ব্যবহার করলে সেটা পড়বে ভারতেই।

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ভারতভুক্তি নিয়ে রাজনাথের মন্তব্যের পর এ কথা বললেন ফারুক আব্দুল্লাহ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

রাজনাথ সিং রোববার প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে নির্বাচনী জনসভায়ও তিনি এ প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তার কথায়, ভারতের শক্তি দিন দিন বেড়ে চলেছে।

গোটা বিশ্বে ভারতের সম্মান বৃদ্ধি হচ্ছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে অতি দ্রুত। জম্মু–কাশ্মীরের উন্নতি হচ্ছে সর্বস্তরে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে আমাদের ভাইবোনেরা তা দেখছেন। এই প্রগতি ও অগ্রগতি দেখে তারা নিজেরাই চাইবেন ভারতে চলে আসতে। ভারতকে বলপ্রয়োগ করতে হবে না।

রাজনাথ সিং মনে করেন, দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের ছিল, আছে, থাকবে।

ফারুক আবদুল্লাহকে গতকালের রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার জবাবে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী যখন বলছেন, তখন তার তা করে দেখানো উচিত। তাকে বাধা দেওয়ার তো কেউ নেই? তবে তার মনে রাখা উচিত, পাকিস্তান হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। তাদের হাতে পারমাণবিক বোমা আছে এবং তেমন হলে দুর্ভাগ্যের বিষয়, সেটা আমাদের ওপরেই পড়বে।

ভোট আবহে পাকিস্তান, সন্ত্রাসবাদ, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সব সময়েই প্রচারের অংশ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বিজেপি নেতারা জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে এগুলো তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও গতকাল ওডিশার কটকে এক আলাপচারিতায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সম্পর্কে বলেন, ওই ভূখণ্ড ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারতীয় সংসদে এ নিয়ে একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছিল। একটা সময় মানুষ এটা ভুলে গিয়েছিল। কিন্তু এখন তা চেতনার অংশ।

অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও কী করে পাকিস্তান তা কবজা করল জানতে চাওয়া হলে জয়শঙ্কর প্রকারান্তরে দায় চাপিয়ে দেন কংগ্রেসের ওপর। তিনি বলেন, বাড়ির মালিক দায়িত্বশীল না হলে চোরেরা চুরি করবেই। এখানে অন্য দেশ সেই ভূমিকা নিয়েছে, দখল করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *