মিলন সরদার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইতি আক্তার নামের এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘরের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইতি আক্তার উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সালাউদ্দিনের মেয়ে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত ইতির বাবা সালাউদ্দিন রিকশাচালক আর মা হালিমা বেগম স্থানীয় কয়েল ফ্যাক্টরির শ্রমিক। গত প্রায় দেড় বছর ধরে তারা বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক নম্বর ঘরে বসবাস করছেন। সালাউদ্দিন ঢাকাতে রিকশা চালান, সুযোগ পেলে মাসে দুই-এক বার বাড়িতে আসেন। তার তিন সন্তানের মধ্যে ইতি দ্বিতীয়। বড় মেয়ে কল্পনার বিয়ে হয়ে গেছে, সে শ্বশুরবাড়িতে থাকে। মা হালিমা বেগম কাজে গেলে দিনের বেশির ভাগ সময় বাড়িতে একাই থাকতেন ইতি। মাঝেমধ্যে বাঁশ দিয়ে মাছ ধরার চাই বানানোর কাজ করতেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইতির খালাতো ভাই সবুজ মিয়ার স্ত্রী সুখী আক্তার বলেন, সোমবার সকাল ৮টার দিকে কয়েকবার ইতির মোবাইলে কল দেয় কিন্তু সেটা সে রিসিভ করেনি। পরবর্তীতে সে তাদের বাড়িতে আসেন এবং ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা দেখতে পান। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে কোনো শব্দ না পাওয়ায় তিনি ইতির নানি আয়েশা বেগম ও ছোট ভাই নাঈমকে ডেকে আনেন। তারা সবাই মিলে ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় বিষয়টি তারা স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং থানা পুলিশকে জানান। পরবর্তীতে বেলা ১১টার দিকে থানা পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ইতির লাশ দেখতে পায়।
নিহত ইতির মা হালিমা বেগম বলেন, সকাল সাড়ে সাতটা বাজে ফ্যাক্টরির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। গত এক দেড় মাস ধরে সে একটি ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলে এ বিষয়টি তারা খেয়াল করেন। একটি ছেলের তার সম্পর্ক হয়েছে তারা শুধু এটুকু জানেন। তবে ওই ছেলের নাম পরিচয় কিছুই জানেন না।
গজারিয়া থানার এসআই সিকান্দার আলী বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ইতির লাশ উদ্ধার করি। বিষয়টিকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার মরদেহের পাশেই একটি মোবাইল পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।