এপ্রিল ২৯, ২০২৩ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ
বৈশাখের এই গরমে হাঁসফাস করছে পুরো দেশবাসী। এমন সময় ঘরের বাইরে পা দিলেই ঘেমে-নেয়ে একাকার অবস্থা। পানির পিপাসায় অস্থির হয়ে পড়েন অনেকেই। আর তখনই ঠান্ডা পানি পান করা ছাড়া যেন কোনো বিকল্পই থাকে না।
ঠান্ডা পানি পান করা কী সত্যিই শরীরের জন্য খারাপ?
তবে গরমে ঠান্ডা পানি পান করার আগে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। না হলে বহু সমস্যা শরীরে চেপে বসতে পারে। বিশেষ করে বাইরে থেকে এসেই ঠান্ডা পানির বোতলে বা মগে চুমুক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এই পুষ্টিবিদের মতে, তীব্র দাবদাহে ঠান্ডা পানি পান করলে কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন-
১. বাইরে তীব্র গরম। এই পরিস্থিতিতে ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা হুট করে কমে যায়। ফলে শরীরে বৈপরিত্য ঘটনা ঘটে। এর থেকে ‘ঠান্ডা-গরম’ লাগতে পারে।
২. গরমে ঠান্ডা পানি পান করলে ফুসফুসে মিউকাস বা কফ জমার ঝুঁকি তৈরি হয়।
৩. সর্দি লাগার ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়তে পারে।
৪. দাঁতে ব্যথা হতে পারে।
তাই অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি বেশি পরিমাণে পান করবেন না। বিশেষ করে রোদ থেকে ঘরে ফিরে সরাসরি বরফ ঠান্ডা পানি পানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। না হলে সমস্যা বাড়তে পারে।
এক্ষেত্রে নরমাল পানির সঙ্গে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি মিশিয়ে পানি পান করুন, তাহলে আর সমস্যা হবে না। এতে শরীরে পিএইচ ব্যালেন্সও ঠিকঠাক থাকবে। ফলে শরীরে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।
খালি পেটে যারা হালকা গরম পানি পান করে, তারা আবার এই অভ্যাস ছেড়ে দেবেন না। খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করলে বহুবিধ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। যেমন হজম প্রক্রিয়া ঠিকমতো হবে আবার শরীরের চর্বিও কমবে, এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যও সারে।
পুষ্টিবদ কোয়েল পাল চৌধুরির মতে, এই সময় দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে সবারই। পাশাপাশি ডাবের পানি, ফলের জুস, ঘোল, শরবত ইত্যাদি পান করতে পারেন।
তবে এসব পানীয়ে একদমই মিষ্টি মেশাবেন না। আর বাইরে থেকে শরবত, ঘোল, ফলের জুস কিনে খাওয়ার প্রয়োজনও নেই। ঘরেই তৈরি করতে পারেন এসব পানীয়। এতেই তীব্র গরমে শরীর থাকবে অনেক ঠান্ডা!
সূত্র: এই সময়