ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪ ১০:৪০ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কবি মুহম্মদ রাসেল হাসান এর সম্পাদনায় ‘নির্মলেন্দু গুণ: কথামৃত’ (২য় খন্ড) প্রকাশ হয়েছে। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪এ শাপলা প্রকাশনী থেকে বইটি এসেছে।
এর আগে ‘কথামৃত’র প্রথম খন্ডটি ২০২৩সালে মুহম্মদ রাসেল হাসানসহ অনেকের সহযোগিতায় কবি নির্মলেন্দু গুণের সম্পাদনায়ই প্রকাশ হয়েছিল।
কথামৃত ২য় খন্ডের প্রচ্ছদ করে়ছেন লায়লা ফেরদৌসী ও সুইটপি গুণ। এর ভূমিকা লিখেছেন ড. রীনা রায়। বইটি নিয়ে কথা হয় কবি মুহম্মদ রাসেল হাসানের সঙ্গে। তাঁর কাছ থেকে জানা যায়, কথামৃত গ্রন্থটি নির্মলেন্দু গুণের অমৃত কথার সম্ভার। বইটির লেখাগুলো ১থেকে ১০লাইনের ভিতরে। তিনি জানান, দীর্ঘ ৪-৫মাসে তিনি নির্মলেন্দু গুণের শতাধিক বই ঘেঁটে এই বইটি সম্পাদনা করেছেন।
রাসেল বলেন, “বরেণ্য কবি নির্মলেন্দু গুণের অনেক কবিতা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি পঠিত ও চর্চিত হচ্ছে। কিন্তু শুধু এগুলোই তাঁর শ্রেষ্ঠ লেখা নয়। নির্মলেন্দু গুণের গদ্য-পদ্য মিলিয়ে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার শতাধিক বই রয়েছে। সবগুলো সে তুলনায় বহুল পঠিত হচ্ছেনা। দারুণ ব্যাপার এইযে, ওই বইগুলোর মধ্যে কখনো কখনো এমন অংশ আছে, যা কবিতারও অধিক। একেবারে ফুলের সৌরভ বা নির্যাসের মতো। আমি যথাসম্ভব দাদুর বইগুলো থেকে মৌমাছির মতো শুষে শুষে একটু একটু অমৃত মধু এনেই নিবন্ধ করেছি ‘নির্মলেন্দু গুণ: কথামৃত’র ২য় খন্ড।”
তিনি আরো বলেন, “অবিশ্বাসে বাড়াই কেন নিজের ক্ষতি?/ আমি আমার আস্থা রাখি প্রেমের প্রতি।”
“প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যেই গোপনে লুকিয়ে থাকে/ এক ধরনের অদৃশ্য শিকল।” “তুমি কি আর ছিন্ন হলেই ভিন্ন হতে পারো?/ যতোই তুমি পরের হবে, আমার হবে আরও।”- এমন অমৃত কথামালারই সমাহারই কথামৃত। এতে গুণ দাদুর মহাজীবন দর্শনের নিবিড় প্রতিফলন হয়েছে।
গ্রন্থের প্রসঙ্গকথায় কবি নির্মলেন্দু লিখেন, “… আমার চেয়ে ৬০বছরের ছোট কবি মুহম্মদ রাসেল হাসানকে কথামৃত গ্রন্থের ২য় খন্ডটি সম্পাদনার দায়িত্ব দিলাম। একজন ১৯বছরের তরুণ কবি মুহম্মদ রাসেল হাসান আমার বিভিন্ন রকম শতাধিক গ্রন্থ ঘেঁটে কথামৃতর ২য় খন্ডটি সম্পাদনা করে তাঁর দক্ষতা, যোগ্যতা ও পারদর্শিতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলেই আমি মনে করি।” তিনি আরো লিখেন, ” অভিনন্দন কবি মুহম্মদ রাসেল হাসান। তুমি প্রমাণ করতে পেরেছো যে, এই গুরুদায়িত্ব পালনের জন্য তোমাকে নির্বাচন করে আমি ভুল করিনি।”
উল্লেখ্য, ২০২১সালে নবম শ্রেণিতে থাকতে তরুণ কবি মুহম্মদ রাসেল হাসানের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জ্যোৎস্নাধোয়া রাত’ প্রকাশিত হয়। ২০২০সালে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আর্কাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারে তালিকাভুক্ত ছাড়াও বেশ কিছু সম্মাননায় ভূষিত হন। রাসেল নিজ এলাকায় স্থাপন করেছেন বইবন্ধু পাঠাগার। বর্তমানে এই কবি ঢাকা-স্থ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। সপ্তম শ্রেণী থেকে তিনি দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। করছেন সাংবাদিকতাও। তিনি সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনেও যুক্ত আছেন।
কথামৃত বইটি অমর একুশে বইমেলার ১৭৫ নম্বর স্টলে (শাপলা প্রকাশনী) পাওয়া যাচ্ছে।