ওএমএস কার্ড পাচ্ছে ১ লাখ মানুষ

ওএমএস কার্ড পাচ্ছে ১ লাখ মানুষ

জাতীয় স্লাইড

জুন ১৯, ২০২৩ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

খাদ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস)-এর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের সহায়তার জন্য ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য প্রাথমিকভাবে এক লাখ লোককে দেওয়া হবে ডিজিটাল কার্ড। এ কার্ড নিয়ে ওএমএস কেন্দ্র থেকে সহজেই চাল কেনা যাবে। ঈদুল আজহার আগেই এই কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানীর ৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, রোববার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কার্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। যারা ওএমএসের চাল-আটা নিতে আসেন, তাদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখা হচ্ছে। তাদের ডিজিটাল কার্ড করে দেওয়া হবে।

গত ১৫ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ওএমএস কার্যক্রম নিয়ে একটি সভা হয়। ঐ সভায় কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর এলাকায় ৯টি ওএমএস কেন্দ্র চিহ্নিত করে ১০ মে থেকে কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রমের চাল ও আটা বিক্রির পাইলটিং কার্যক্রম শুরু করা হয়। কেন্দ্রগুলোতে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও স্ট্যাম্প সাইজের ছবিও সংগ্রহ করা হয়েছে।

খাদ্য অধিদফতরের গত ২৯ মে’র সভায় আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সারাদেশে ৪০০টি কেন্দ্রে কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই মধ্যে খাদ্য অধিদফতর থেকে এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভার পর ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে আসা ভোক্তাদের ওএমএস কার্ড প্রদানের লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ওএমএস চাল ও আটা বিক্রির বিষয়টি জানানো হয়। গত ৭ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো ভোক্তাদের কাছ থেকে এনআইডি নিয়ে ভোক্তার নাম এবং এনআইডি নম্বর একটি বাঁধাই করা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওএমএস বিক্রির কার্যকম পরিচালনা করা হয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ডিজিটাল কার্ডটি হাতে পাওয়ার পর যার নামে কার্ড তাকেই খাদ্য নিতে হবে। অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। এ কার্ড বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এ কার্ডের মাধ্যমে ভোক্তা সপ্তাহে এক দিন খাদ্য কিনতে পারবেন। বিক্রয়কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ডের মাধ্যমে চাল ও আটা নিতে হবে। তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে কার্ড বাতিল করা হবে। কার্ডে পণ্য উত্তোলনের সব ঘর শেষ হয়ে গেলে কার্ড জমা দিয়ে নতুন কার্ড নিতে হবে। প্রতিবার বিক্রয়ের সময় ‘বিতরণ’ চিহ্ন ঘরটি পাঞ্চ মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে দেওয়া হবে। কার্ডটি হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানায় খাদ্য অফিসে অবহিত করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *