যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার কানাডায় বন্দুক হামলা আতঙ্ক। টরন্টোতে স্কুলের সামনে এক অস্ত্রধারীকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কানাডার সংবাদ মাধ্যম সিবিসি পুলিশের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ মে) টরেন্টোর পোর্ট ইউনিয়ন আবাসিক এলাকায় স্কুলের সামনে একজন অস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করলে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সে। ২০ বছর বয়সী ওই অস্ত্রধারীর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। সে হামলার উদ্দেশ্যে সেখানে গিয়েছিল কি-না তাও নিশ্চিত নয়। তবে ওই একই এলাকায় কাছাকাছি পাঁচটি স্কুল রয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেখানকার সব স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেক্সাসের স্যান অ্যান্তোনিওর ইউভালডি শহরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ। সে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৯ শিশু শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষককে হত্যা করে। এরপর পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ওই হামলাকারীও নিহত হয়। টেক্সাসের এ ঘটনায় আতঙ্কে অন্য রাজ্যের গভর্নররাও। নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল জানিয়েছেন, তিনি বন্দুক কেনার বয়সসীমা ১৮ থেকে ২১ বছর করতে চান।
যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর এখন পর্যন্ত ২১২টি গুলির ঘটনা ঘটেছে। যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন হাজারো মানুষ। এমন হত্যাযজ্ঞ বন্ধে এখনই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন সংস্কার করার ওপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, আইন কঠোর করে এর কঠিন ও কার্যকর প্রয়োগ দরকার। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, বন্দুক হামলা যুক্তরাষ্ট্রকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ বন্দুক হামলার দুদিন পর টেক্সাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অস্ত্র বহনের অধিকারের পক্ষের প্রধান লবিং গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের তিনদিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন। এরমধ্যেই অবিলম্বে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছেন মার্কিন নাগরিকরা।