এবারও ইফতার আয়োজনে জমবে পুরান ঢাকা

এবারও ইফতার আয়োজনে জমবে পুরান ঢাকা

দেশজুড়ে স্পেশাল

মার্চ ২৪, ২০২৩ ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

পুরান ঢাকার ইফতার আয়োজন মানেই অন্যরকম এক উন্মাদনা। প্রতিবছরই মহাসমারোহে পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় বাহারি ইফতার আয়োজন। প্রতিবারের মতো এ বছরও থাকবে এমন আয়োজন। তার প্রস্তুতিও লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন জায়গায়।

পুরান ঢাকার চকবাজার, নাজিরাবাজার, রায়সাহেব বাজার, নারিন্দাসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে ইফতার ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি। ইফতার তৈরির সামগ্রী কিনতে দেখা যায় বিভিন্ন দোকানে।

নারিন্দার মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম বলেন, ইফতার সামগ্রী তৈরির জন্য ময়দা, বেসন, ডাল, তেল ইত্যাদি বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে আজ।

ইফতারি ব্যবসায়ী আলামিন মণ্ডল বলেন, এ বছর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ইফতার তৈরির সামগ্রী কিনতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবুও আশা করছি বারবারের মতো এবারও জমজমাট ইফতারি উপহার দিতে পারবো আমরা।

জানা গেছে, পুরান ঢাকার বাহারি ইফতারের ইতিহাস শত বছরের। এখানকার ইফতারের ভেতর রয়েছে নানা ভিন্নতা। ভিন্নরকম এসব ইফতারের ভেতর রয়েছে আস্ত মুরগির কাবাব, মোরগ মুসাল্লম, বটিকাবাব, টিকাকাবাব, কোতা, চিকেন কাঠি, শামিকাবাব, শিকের ভারী কাবাব, সুতিকাবাব, কোয়েল পাখির রোস্ট, কবুতরের রোস্ট, জিলাপি, শাহি জিলাপি, নিমকপারা, সমুচা, আলাউদ্দিনের হালুয়া, হালিম, দইবড়া, কাশ্মীরি শরবত, ৩৬ উপকরণের মজাদার খাবার বড়বাপের পোলারা ইত্যাদি।

এসব বাহারি ইফতারির ভেতর বেশি জমজমাট আয়োজন হয় চকবাজারে। ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ চকবাজারে আসেন ইফতারি কিনতে। উপভোগ করেন নানা ইফতারির স্বাদ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পুরান ঢাকার বাসিন্দা মোশফিকুর রহমান ইমন বলেন,  প্রতিবছরই চকবাজারের ইফতারির স্বাদ নিতে আসি। এবারও যাবো ইনশাআল্লাহ। করোনার জন্য আগে কয়েকবছর ইফতারি আয়োজন তেমন জমজমাট না হলেও এবার আশা করছি দারুণ আয়োজন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *