ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ ১১:০২ পূর্বাহ্ণ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রুদ্ধদ্বার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে খবর প্রকাশে গণমাধ্যমের ওপর আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এদিকে পাকিস্তানে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে দিয়ে ইমরানের এই বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
ইমরান খানের বিচার প্রক্রিয়া গণমাধ্যমে প্রকাশের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনকে কলঙ্কিত করতে পারে।
কারণ, নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই সরকার ইমরান খানের শত্রু ও বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
আদালতের আদেশে ইমরান খানের রুদ্ধদ্বার বিচারের সিদ্ধান্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া গণমাধ্যমে প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা রাওয়ালপিণ্ডিতে বিচারের শুরুতেই জানানো হয়।
আদালত ইমরান খান এবং তার সঙ্গে অভিযুক্ত হওয়া সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির পরিবারকে বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দিয়েছে শর্তসাপেক্ষে। বিচারপ্রক্রিয়া কোনো প্লাটফর্মেই তারা প্রকাশ করতে পারবেন না বলে শর্ত দেওয়া হয়।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, বিচারপ্রক্রিয়া প্রকাশে গণমাধ্যমের ওপর এমন কড়া বিধিনিষেধের কারণে সুষ্ঠু বিচারের প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য পূরণ হয়নি।
গত ৫ অগাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত এবং তিন বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকে ইমরান খান কারাবন্দি হয়ে আছেন। এতে আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা অনেকটাই হুমকির মুখে পড়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এর পর থেকে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং তোষাখানা দুর্নীতি মামলাসহ আরও কয়েক ডজন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে ইমরান খান এসব মামলা তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য দায়ের করা হয়েছে বলে নিন্দা জানিয়েছেন।