ইউক্রেনে ‘আগ্রাসনের’ সময় রাশিয়ার সেনাবাহিনী তাদের ‘হাজার হাজার’ লেফটেন্যান্ট ও ক্যাপ্টেন এবং ‘অনেক’ জেনারেলকে হারিয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর চেইন অব কমান্ড এখনো নড়বড়ে। কারণ ইউক্রেনে প্রতিদিন শত শত রুশ সেনা হতাহতের শিকার হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনে ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ৪৫ হাজার।
গেল জুন মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, রুশ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে প্রতিদিন ১০০-২০০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হচ্ছে।
মার্কিন ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনে ১০০টিরও বেশি ‘উচ্চমূল্যের’ রাশিয়ান লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) কলোরাডোতে অ্যাস্পেন সিকিউরিটি ফোরামে আলোচনার সময় ব্রিটেনের সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের (এমআই৬) প্রধান রিচার্ড মুর বলেন, রাশিয়ান বাহিনী সম্ভবত ‘তাল হারিয়ে’ ফেলছে। তাদের যেকোনো উপায়ে বিরতি দিতেই হবে এবং এটি ইউক্রেনীয়দের পাল্টা আঘাত করার সুযোগ করে দেবে।
ইউরোপে মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডিং জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল বেন হজেস চলতি মাসের শুরুর দিকে সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, ‘রাশিয়ানরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ইউক্রেন ২০২৩ সালের মধ্যে রাশিয়ান বাহিনীকে তার যুদ্ধ-পূর্ব সীমান্তে ফিরিয়ে দিতে পারে।’
এদিকে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা ৪টি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমস (হিমার্স) ধ্বংস করেছে রুশ সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২২ জুলাই) এমন দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মস্কোর এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ এবং ওয়াশিংটন।