ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি বলেন, আল্লাহ কিছু নেয়ার আগে কিছু দিয়েও দেয়। আমার একজন কাঁধে হাত রাখার মানুষ আছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেলে রাজ্যের সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে ক্যাপশনে এ কথা লেখেন অভিনেত্রী।
মূলত গত ২৪ নভেম্বর পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী মারা গেছেন। আর সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি অভিনেত্রী। নানাকে হারিয়ে দিশেহারা পরী।
পরীমণি তার দেয়া পোস্টে ছয়টি ছবি দিয়ে লেখেন, ‘এর আগে যত বার নানু বাড়ি গেছি, নির্দিষ্ট তারিখেই ঢাকায় ব্যাক করেছি। বাড়ির সবাই দুই একদিন বেশি থেকে যেতে বলতো কত করে! থাকা হয়নি। আর এখন মনে হচ্ছে নানুর কবর ধরে সারাদিন সারারাত যদি বসে থাকতে পারতাম! কিন্তু পারি না।’
ছেলে পদ্মর সঙ্গে তার নানা ভাইয়ের স্মৃতি টেনে পরী লেখেন, আমার পদ্মফুল কেবল নানুকে চিনতে শুরু করেছিল। বড় আব্বু বলে ডাকতে শিখেছিল। এখন যদি কেউ ওকে বলে তোমার বড় আব্বু কই? ওমনি এই যে বলে সাথে সাথে আঙ্গুল তুলে নানুর কবরটা দেখিয়ে দেয়! কবরের ওপরে চুমু খায়, হাত বুলায়, ফু দেয়। আসার সময় হাত নেড়ে নেড়ে কতবার যে বললো ‘আব্বুটা বাই আব্বুটা বাই’!
সবশেষে লেখেন, ‘দোয়া করবেন। নানু জান্নাতের ফুলের সাথে থাকুক।’
পরীর পোস্ট করা ছবিগুলোর মধ্যে একটিতে দেখা যায়, কবরের পাশে বসে আছেন তিনি। এ সময় তার কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে ছেলে পদ্ম। সেই ছবি প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, ‘আমার একজন কাঁধে হাত রাখার মানুষ আছে। আল্লাহ কিছু নেয়ার আগে কিছু দিয়েও দেয়!’
আরও একটি ছবির ক্যাপশনে পরী লেখেন, ‘নানুর চাদর। একদিন আমার পদ্মফুলকে পরিয়ে দেব। জীবনের এই আসা যাওয়ার মধ্যে এই মায়াটুকুই তো সব।’
অন্য একটি ছবির ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘এ বাড়ি একদিন আমারও শেষ গন্তব্য হবে!’
পরীমণির নানাবাড়ি পিরোজপুরে। তার নানা শামসুল হক গাজী ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর নানার অকৃত্রিম ভালোবাসাতেই বড় হয়ে ওঠেন ছোট্ট পরী। তিনিই ছিলেন পরীমণির একমাত্র অভিভাবক।