ডিসেম্বর ৪, ২০২২ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ
বিপুল পরিমাণ টাকা ধার নিয়ে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু দু’মাসও টিকল না বিয়ে। মাত্র ৩৩ দিনের মাথায় স্ত্রী ছেড়ে চলে যান। শেষ পর্যন্ত বিয়ের খরচ ফেরত চেয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে মাইকিং করেছেন স্বামী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ২৫ বছর বয়সি হউ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ২০২১ সালে আলাপ হয় লি নামের এক তরুণীর। দুজনের বাড়ি একই এলাকায় হলেও একে অন্যকে চিনতেন না তারা। এক ঘটক আলাপ করিয়ে দেন তাদের। দুই পরিবারের সম্মতিতে বাগদান হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
তবে সংসার পাতার মাত্র এক মাস পর দেখা দেয় বিপত্তি। এক রাতে বাসায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন হোউ। ফলে কাজ থেকে ফিরে অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থাকতে হয় লিকে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে বাবার বাড়ির উদ্দেশে হাঁটা দেন লি।
বিয়েটা জাঁকজমকের সঙ্গেই করেছিলেন হোউ। খরচ হয়েছিল ৫ লাখ ১০ হাজার ইউয়ান (প্রায় ৭৫ লাখ টাকা)। এর বড় একটা অংশ ধার করতে হয়েছিল তাকে। কিছু অর্থ দিয়েছিলেন তার মা–বাবা। বাকিটা আত্মীয়স্বজন। এখন তিনি স্ত্রীর কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার ইউয়ান চাইছেন।
হোউ বলেন, ‘আমরা বিয়েতে লিকে যে গয়না দিয়েছিলাম, তার দাম বাবদ ৪০ হাজার ইউয়ান আর নগদ ১ লাখ ইউয়ান চেয়েছি।’
লির সঙ্গে ঝগড়ার পরপরই বিচ্ছেদ চেয়ে স্থানীয় একটি আদালতে আবেদন করেছিলেন হোউ। তবে আদালতে লি জানান, তারা বেশ সুখেই সংসার করছিলেন। শেষ পর্যন্ত গত জুনে আদালত স্বামী হোউয়ের আবেদন খারিজ করে দেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। এর শুনানির জন্য এখন তাকে অপেক্ষা করতে হবে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত।
এদিকে এ ঘটনা সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। চীনের এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এমন আরো ঘটনা সামনে আসবে। হেনানে বিয়ে করতে হলে কনেপক্ষকে এক লাখ ইউয়ানের বেশি দিতে হয়। ফলে ছেলে বিয়ে দিতে গিয়ে এখন প্রায়ই মা–বাবাকে ঋণ করতে হচ্ছে।’
সূত্র: আনন্দবাজার