এপ্রিল ১, ২০২২ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনায় চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। ডেলটা ও ওমিক্রন ধরনের প্রতিরোধে টিকার বুস্টার ও চতুর্থ ডোজ অনেক দেশে দেওয়া শুরু হয়েছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। বিশ্বের এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৪১ হাজার ৩৫১ জন। এ সময় মারা গেছেন আরও ৩ হাজার ৯৯০ জন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হন ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৪২৫ জন। এ সময় মারা যান আরও ৪ হাজার ২১১ জন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ কোটি ৮৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪২ কোটি ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৭২ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৭ জন।
সংস্থাটি থেকে আরও জানা যায়, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৫০৩ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৭ হাজার ৩২০ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার ২১১ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৫ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬০ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৩ জন।
পঞ্চম স্থানে উঠে আসা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ১২ লাখ ২৮ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়।