কোরবানির পশুর হাট কাঁপাতে এবার হাটে আসছে টাঙ্গাইলের ‘মেসি’। ৩২ মণ ওজনের এই ষাড়কে নিয়োমিত ভেটেরিনারি চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোসহ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে। ‘মেসির’ মালিক মো. আল আমীন আকন্দ এর দাম হাকিয়েছেন ১০ লাখ টাকা।
আল আমিন জানান, এবার কোরবানির ঈদে তার খামারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩২ মণ ওজনের দানব আকৃতির ষাড়। আর শখ করে ষাড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘মেসি’। তিন বছর ধরে এটি লালন পালন করছেন তিনি। ইতোমধ্যেই অনলাইনে মেসি’র বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপন দেখে অনেক ক্রেতাই আসছেন তার কাছে। এছাড়াও আরও পাঁচটি ষাড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এ পাঁচটির দাম প্রায় দশ লাখ টাকা হবে বলে আশা করছেন তিনি। সকল খরচ বাদে তার দশ থেকে ১২ লাখ টাকা মুনাফা হবে বলে আশা আল আমিনের।
আল আমীন বলেন, ‘গরুর খামার করে অনেক ভালো আছি। চাকরি করলে এত আয় করা সম্ভব হতো না।’ তবে সরকারি পর্যায়ে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পেলে বেকার যুবকরা সহজেই উদ্যোগ নিতে পারবেন বলেও মত তার।
সল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, আল আমীন একজন সফল খামারি। তার সফলতা দেখে অনেকেই গরুর খামার করেছেন। চাকরির পেছনে না ছোটে, বিদেশ না গিয়ে নিজ গ্রামে থেকেও স্বাবলম্বী হওয়া যায় আল আমীন তার উদাহরণ।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া জানান, আল আমিন খান টাঙ্গাইলের সফল খামারিদের একজন। তার খামারে মেসির ওজন প্রায় ৩২ মণ। আমরা তার খামার নিয়োমিত দেখভাল করি। মেসি ছাড়াও তার খামারে অনেকগুলো ষাড় এবং গাভী রয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা ৯০ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। আর জেলায় গরু-ছাগল-ভেড়াসহ প্রায় দেড় লাখ পশু রয়েছে।