নভেম্বর ২০, ২০২২ ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ
পাকিস্তানে শ্বসনতন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগ ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে নিয়মিত টিকাদানের হার বৃদ্ধির দাবি করা হলেও, অন্তত ৩৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউনিসেফের পক্ষ থেকে রোগ প্রতিরোধী সিরাম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ডব্লিউএইচও একই সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্যান্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন ও অ্যান্টি-ডিপথেরিয়া সিরামের অভাবে ডিপথেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটে। তারা বলছেন, বিশ্বজুড়ে রোগ নির্মূলে অ্যান্টি-ডিপথেরিয়া সিরাম খুব কম পরিমাণে তৈরি করা হয়।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতি সপ্তাহে পাকিস্তানের পাঞ্জাব, সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরেও আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
দেশটির চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা এমন পরিস্থিতির জন্য ফেডারেল ও প্রদেশিক সরকারকে দায়ী করেছেন। শিগগির ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিপথেরিয়া মানবদেহের শ্বসনতন্ত্রে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগ। মানবদেহের শ্বসনতন্ত্র কিংবা ত্বক ও চোখের কনজাংটিভা এই রোগে আক্রান্ত হয়। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বা ত্বকে ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে এলে এই রোগ দ্রুত ছড়ায়। সংক্রমণের ২ থেকে ৬ দিনের মধ্যে এর লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দেয়।
টিকার মাধ্যমে ডিপথেরিয়া প্রতিরোধ করা যায়। ডিপথেরিয়ার টিকাকে বলে ডিপিটি ভ্যাকসিন। এই টিকা দিলে শিশুর ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কারসহ বেশ কয়েকটি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়, বলছেন চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা।