খাদ্যশস্য রফতানির সুযোগ দিতে পুতিনের শর্ত

আন্তর্জাতিক স্লাইড

মে ২৯, ২০২২ ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ

ফরাসি ও জার্মান নেতাদের রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের বন্দরে আটকে থাকা খাদ্যশস্যবোঝাই জাহাজের জন্য উপায় বের করতে মস্কো প্রস্তুত আছে। কিন্তু তার আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হবে পশ্চিমাদের।

এমন এক সময়ে তিনি এ শর্ত দিলেন, যখন বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট চরম আকার নিয়েছে। শনিবার (২৮ মে) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো ও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে এক দীর্ঘ ফোনকলে তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্য সরবরাহে অনেক সংকট দেখা দিয়েছে। এর জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ভুল সিদ্ধান্ত দায়ী। খবর আল-জাজিরার।

ম্যাঁক্রো ও শোলজকে পুতিন আরও বলেন, বাধাহীন খাদ্যশস্য রফতানিতে বিকল্প উপায় বের করতে প্রস্তুত রাশিয়া। কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে যাতে ইউক্রেনীয় পণ্য রফতানি করা সম্ভব হয়, সেই উপায় করতে চায় মস্কো।

তিনি বলেন, রাশিয়ার সার ও কৃষিপণ্য সরবরাহ বাড়াতে পারলে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য বাজারে উত্তেজনা কমানো যাবে। কিন্তু তার আগে সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান ও মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই দেশ থেকে সার, গম ও অন্যান্য পণ্য রফতানি ব্যাহত হচ্ছে। এতে বিশ্বজুড়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্বের মোট গম সরবরাহের ৩০ শতাংশ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। ওলাফ শোলজ ও ম্যাঁক্রোকে পুতিন আরও বলেন, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় গম আটকে থাকার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় জড়িত। ওডিসা বন্দর থেকে ওই জাহাজ চলাচলের অনুমোদন দিতে চায় রাশিয়া। এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে তা অবশ্যই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে হতে হবে।

রাশিয়ার অভিযোগ, এ পরিবহন পথে মাইন পেতে রেখেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। জাহাজগুলো চলাচলে অনুমোদন দেওয়ার আগে সেসব মাইন অপসারণ করতে হবে।

মস্কো থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক দোরসা জাব্বারি জানান, ওডিসা বন্দর থেকে খাদ্যশস্য রফতানিতে অবরোধ তুলে নিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ম্যাঁক্রো ও ওলাফ শলজ।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, মাইন অপসারণের পর সামরিকভাবে বাধাগ্রস্ত করা ছাড়াই খাদ্যশস্য রফতানিতে জাহাজগুলোকে ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে প্রবেশের সুযোগ দেবেন বলে রুশ প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে অঙ্গীকার আদায় করেছেন ফরাসি ও জার্মানির দুই নেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *