জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) টোল আদায়ে ধীরগতি কিছুটা কেটেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে চারটি বুথে টোল আদায় করা হলেও শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আরো তিনটি বাড়িয়ে সাতটি টোল বুথ করা হয়েছে। এতে টোল আদায়ে গতি বেড়েছে, কমেছে যানজট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজা এলাকায় ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী যানবাহনগুলো চার কিলোমিটারের বেশি ও ভাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলো এক কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে যানজটে ছিল। তখন টোল প্লাজা এলাকায় চারটি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছিল। পরে যানবাহনের চাপে দ্রুত আরো তিনটি টোল বুথ খুলে দেওয়া হয়। এখন সাতটি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে টোল আদায় শুরু হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ের পদ্মাসেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিয়া এলাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটারে বড় বাসকে ২০০ টাকা, মিনিবাসে ১১০ টাকা, মাইক্রোবাসে ৯০ টাকা, প্রাইভেটকারে ৫৫ টাকা ও মোটরসাইকেলে ১০ টাকা টোল দিতে হবে। এছাড়া ট্রেইলর ট্রাকের (সবচেয়ে বড় ট্রাক) টোল ধরা হয়েছে ৬৭৫ টাকা, ভারী ট্রাক ৪৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের ট্রাক ২২০ টাকা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের (এক্সপ্রেসওয়ে) টোল প্লাজার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু হোসেন জাকারিয়া বলেন, নতুন করে তিনটি বুথ চালু করায় যানজট কমেছে। দ্রুত যানজট স্বাভাবিক হবে।