উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে ভবেরচর ইউনিয়নে

উন্নয়নের ছোঁয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে ভবেরচর ইউনিয়ন

দেশজুড়ে

সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩ ৪:০৯ অপরাহ্ণ

মিলন সরদার।।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়নের নাম ভবেরচর। এর উপর দিয়ে চলে গেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ৯টি ওয়ার্ডসহ ১০টি মৌজা নিয়ে গঠিত এ ইউনিয়ন।

স্থানীয়রা বলছেন, এক সময়ের ভবেরচর ইউনিয়নের গ্রাম থেকে আরেক গ্রামের যাওয়ার কাঁচা রাস্তা পর্যন্ত ছিল না। এখানকার অধিকাংশ মানুষ মাছ আর কৃষি উপর নির্ভর ছিলো। ধারাবাহিক উন্নয়নে এ ইউনিয়নের মানুষ বহু ধরনের পেশায় নিজেদের যুক্ত করে জীবন বদলে নিচ্ছে।

জানা যায়, এ ভবেরচর ইউনিয়নের চিত্রপট পরিবর্তনের কারিগর অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি। তিনি ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালে টানা দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সর্বত্র উন্নয়নের দৃশ্যমান চিত্র। এমপি অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সহযোগিতায় ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুইবারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মো. লিটনের সঠিক নেতৃত্বের কারণে এসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে জানান সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।

ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, এই ইউনিয়নের লোকসংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার ৯৮০জন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ইউনিয়নটির বিভিন্ন গ্রামে দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তাবয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে

১. আনারপুরা মোল্লাবাড়ী জামে মসজিদ ও চরপাথালিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন করা হয়েছে।

২. লক্ষীপুর গ্রামের আবুল মেম্বারের বাড়ী হইতে শাহাআলমের বাড়ী পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

৩. পৈক্ষারপাড় গ্রামের মুল পাকা রাস্তা হইতে হারুন প্রধানের বাড়ী পর্যন্ত আরসি রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

৪. ভবেরচর বাগানবাড়ী হইতে ইদ্রিস আলীর বাড়ী পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা সংস্কার করা হয়।

৫. ভবেরচর পশুর হাটে ময়লা অপসারণ ও মাটি দিয়ে ভরাট।

৬. আলীপুরা গ্রামের সিকদর বাড়ি ব্রীজ হইতে প্রধান বাড়ী পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

৭. চরপাথালিয়া গ্রামের পাকা রাস্তা হইতে পৈক্ষার পাড় ব্রীজ পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মান করা হয়।

৮. ভবেরচর কলেজ রোড হইতে জাকিরের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

৯. লক্ষীপুর গ্রামে পাকা রাস্তা হইতে শহীদুল্লার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

১০. পৈক্ষারপাড় গ্রামের জানাজার স্থান আরসিসি করন।

১১. ভবেরচর দুধ বাজার সংলগ্ন সড়ক আরসিসি করন করা হয়।

১২. আনারপুরা গ্রামের খেলা মাঠ থেকে মোল্লা বাড়ীর মসজিদ পর্যন্ত মাটি ভরাট ও আরসিসি করন করা হয়।

১৩. আনারপুর গ্রামের পাকা সড়ক থেকে তোতা মিয়ার জমি পর্যন্ত নতুন নির্মান করা হয়।

১৪. ভবেরচর গ্রামের বাতেন সরকারের বাড়ী হতে পলান সাহ বাড়ীর পযর্ন্ত নতুন রাস্তা নির্মান।

১৫. লক্ষীপুরা গ্রামের রাজ্জাক মাস্টারের বাড়ী পর্যন্ত আরসিসি করন করা হয়।

১৬. ভবেরচর কাচাবাজারের ২টি সেড পরিবর্তন করে নতুন করে সেড লাগানো হয়।

এছাড়াও গ্রামগুলোতে পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানির গভীর নলকূপ স্থাপনসহ নানান দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মো. লিটন বলেন, আমাদের মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস মাননীয় এমপি মহোদয়ের ঐকান্তিক সহযোগীতায় শুধু ভবেরচর নয়, গজারিয়া উপজেলা জুড়ে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। ভবেরচর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটা গ্রাম’কে একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর শহরে পরিনত করতে সার্বিক ভাবে চেষ্টা করছি। আগামীতে এলাকার দৃশ্যমান এসব কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

এমপি মৃণাল কান্তি দাস জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার গ্রাম হবে শহর। এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক সহযোগীতায় শুধু ভবেরচর নয়, মুন্সীগঞ্জের সদর ও গজারিয়া উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামীতেও এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *