সোহেল রায়হান,নেছারাবাদ, পিরোজপুর।
পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ থেকে কোন টাকা দিতে হবে না পিরোজপুর-২ আসন (ভান্ডারিয়া, কাউখালী এবং নেছারাবাদ) এর সকল ক্ষুদ্র ও ব্যবসায়ীদের এমন ঘোষণা দিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ। সূত্রে জানাযায়, তার নিজের তহবিল থেকে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছেন। ক্ষুদ্র ও সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে মহিউদ্দিন মহারাজ এমপি তার নির্বাচনী এলাকা ভান্ডারিয়া কাউখালী এবং নেছারাবাদ এই তিন উপজেলা সকল হাট বাজারের খাজনা মওকুফ করে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। নির্বাচনী তিনটি আসনের মধ্যে নেছারাবাদে ৩৪ টি, তার মধ্যে পৌরসভা সহ বাণিজ্যিক এলাকা জগন্নাথকাঠি বন্দর ও নদীর পশ্চিম দুটি বন্দর ইন্দেরহাট বন্দর এবং মিয়ারহাট বন্দর। যাহা সাপ্তাহিক দুইদিন হাট বসলেও প্রতিদিন এই তিন বন্দরে ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা করে থাকেন হাজার হাজার ব্যবসায়ীরা। দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা এই তিন বন্দরে প্রতিনিয়ত কেনা বেচার জন্য আসেন। অপরদিকে কাউখালী থানায় সর্বমোট ১৬ টি হাট বাজার বসে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং ব্যবসায়ীদের প্রধান বন্দর হলো কাউখালী সদর। ভান্ডারিয়া উপজেলায় রয়েছে ৩০টি হাট বাজারেরও বেশি। মহিউদ্দিন মহারাজ এমপি এর একান্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ জানান সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে এই তিন উপজেলার হাট বাজারের টাকা পরিশোধের প্রক্রিয়া শেষ করেছেন মাননীয় সংসদ সদস্য। পহেলা বৈশাখ থেকে সাধারণ ও ব্যবসায়ীরা এই তিন উপজেলার সকল হাটবাজারে কেনাবেচা করিতে পারিবেন, কাউকে কোন খাজনা দিতে হবে না।
মাননীয় সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ এমপি বলেন, বিভিন্ন সময় শুনতে পাই হাটহাজার অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া হয় যাহা ক্ষুদ্র । ও ব্যবসায়ীদের পক্ষে দেয়া অনেক কষ্টকর। ব্যবসায়ীরা খাজনা নামে বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হন। তাদের এই কষ্টের কথা শুনে আমি নির্বাচনের আগেই ভেবে রেখেছি মহান আল্লাহর রহমতে যদি আমি নির্বাচিত হই তাহলে সর্বপ্রথম আমি সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য আমার নির্বাচনী এলাকা ভান্ডারিয়া, কাউখালী এবং নেছারাবাদের সকল হাট বাজারের খাজনা সরকারী নিয়ম অনুযায়ী আমার নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধ করিব। যাহাতে সাধারণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার না হয়। উল্লেখ্য যে গত ৮ এপ্রিল নেছারাবাদে ইমাম ও মোয়াজ্জেমের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ ঘোষণা দেন।