নালিতাবাড়ীতে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

নালিতাবাড়ীতে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

দেশজুড়ে

জানুয়ারি ১৭, ২০২৪ ৪:১১ অপরাহ্ণ

মাহফুজুর রহমান সোহাগ, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)

শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকায় শৈত প্রবাহের কারনে শুরু হয়েছে কনকনে তীব্র শীতের মহড়া। ঘন কুয়াশা আদ্রতা আর হিমেল হাওয়ায় জন জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। উত্তরে ভারতের হিমালয় পর্বতের প্রবাহিত হিম বায়ুর প্রভাবে হার কাঁপানো শীতে কাজে যোগদান করতে পারেছেন না শ্রমিকরা। তীব্র শীতে কষ্ট বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তারা পর্যাপ্ত শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্টে রয়েছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ বিভিন্ন আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে অল্প পরিমাণে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা পর্যাপ্ত নয় বলে শীতার্তরা জানান।

এদিকে, গত ৭ দিন ধরে নালিতাবাড়ীতে সুর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পরে দুই এক ঘন্টা হালকা রোদ উঠলেও সাথে বাইতে থাকে কন কনে হিমেল হাওয়া। বর্তমানে উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি গ্রামগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি। দিনের বেলায় তাপমাত্রা থাকে ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাতের বেলায় ৮ থেকে ১০ ডিগ্রিতে নেমে আসে। তীব্র শীতের কারনে এসব অঞ্চলের বৃদ্ধ ও শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শীতের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না গবাদি পশুরাও। কৃষকরা তাদের পশুদের চটের বস্তা গায়ে জড়িয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। কনকনে শীতে চলমান বোরো আবাদে ধান লাগাতে পারছেন না কৃষকরা। একইসাথে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকের বীজতলা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, চলমান শৈত্য প্রবাহের কারনে কৃষকের বোরো বীজতলার কোন ক্ষতি হবে না। এছাড়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে কৃষক বোরো ধান রোপন করেছেন। তবে তিনি বলেন, অধিক সতর্কতার জন্য বীজতলায় পানি আটকিয়ে রাখতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল বলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলায় সরকারিভাবে ৪ হাজার ৯২০ টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দাদের মাঝে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে কম্বল হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বরাদ্দকৃত কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ শুরু করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *